ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটের দিনে সাত জেলার প্রায় অর্ধশত কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি।
Published : 22 Mar 2016, 12:35 PM
দেশের ৭১৭ ইউনিয়ন পরিষদে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল করিম ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে বরিশাল, কুমিল্লা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লায় প্রায় অর্ধশত কেন্দ্র থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া, জাল ভোট দেওয়া ও হামলার কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ও কর্মীদের মারধর করে অস্ত্রের মুখে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে কোন কেন্দ্র দখলের জন্য কারা দায়ী তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করে ‘প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের’ কথা বলা হয়েছে।
এই উপজেলায় ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চানপুর, সুলতানপুর, নুরপুর, কোটনা, ফতেহাবাদ প্রাইমারি স্কুল, খলিলপুর,আসানপুর ও বড়কান্দা; ধামতি ইউনিয়নের হাজী আব্দুল মজিদ মক্তব ও দক্ষিণ খার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রাজামেহের ইউনিয়নের মরিচা উচ্চ বিদ্যালয় ও বেতরা দক্ষিণ মাদ্রাসার ভোটকেন্দ্র দখলের কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এসব কেন্দ্র দখলমুক্ত করতে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন বলে জানান রেজাউল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ অনিয়ম ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনে ‘সর্বশক্তি’ প্রয়োগের নির্দেশ দিয়ে রাখলেও ভোট শুরুর আগেই লক্ষ্মীপুর, সাতক্ষীরা ও বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষে ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সকালে হাতিয়ায় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে দুই নির্বাচনী কর্মকর্তাকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ও বোমাবাজির খবর পাওয়া গেছে।
নির্বাচনে মোট ১৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলেও স্বাভাবিকভাবেই মূল লড়াই চলছে আওয়ামী লীগের নৌকা এবং বিএনপির ধানের শীষে। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও সাধারণ এবং সংরক্ষিত সদস্য পদের নির্বাচন হচ্ছে নির্দলীয়।