কৃষিজমি বা পাহাড়ের মাটি ব্যবহার ছাড়াও নিষিদ্ধ এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেবে সরকার।
Published : 18 Apr 2016, 07:28 PM
এজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের তফসিলে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের’ চারটি ধারা যুক্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইটভাটায় বিভিন্ন অনিয়মের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে।
ইটভাটা আইনে বলা হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটায় ইট তৈরি করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
ইট তৈরিতে কৃষিজমি, পাহাড় বা টিলার মাটি ব্যবহার এবং অনুমোদন ছাড়া মজা পুকুর, খাল, বিল, খাঁড়ি, দীঘি, নদ-নদী, হাওর-বাওর, চরাঞ্চল বা পতিত জায়গা থেকে মাটি নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হবে।
এই অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।
ইটের কাঁচামাল হিসেবে মাটির ব্যবহার কমাতে আধুনিক প্রযুক্তির ভাটায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ফাঁপা ইট তৈরি করতে হবে। এই নিয়ম না মানলে আইনে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
কেউ ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারি বা এ ধরনের উপাদানযুক্ত কয়লা ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিয়ে নিষিদ্ধ এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া সরকারি বনাঞ্চলের দুই কিলোমিটারের মধ্যে, পাহাড় বা টিলার পাদদেশের আধা কিলোমিটারের মধ্যে এবং পার্বত্য জেলার পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির নির্ধারিত স্থান ছাড়া ইটভাটা করা যাবে না।
এছাড়া বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল-ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইটভাটা স্থাপনেও আইনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জারিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।