বাংলাদেশের শিশুদের খবর সমাজের নীতি নির্ধারকদের সামনে মেলে ধরতে রোববার যাত্রা শুরু করছে শিশুদের ভিডিও নিউজ সার্ভিস ‘প্রিজম’।
Published : 09 Apr 2016, 08:17 PM
সংবাদভিত্তিক এই ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করছে দেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। আর এ উদ্যোগে সহযোগিতা দিচ্ছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল -ইউনিসেফ।
শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বে ‘শিশুদের জন্য এবং শিশুদের নিয়ে’ এ ধরনের উদ্যোগ প্রথম বলেই দাবি উদ্যোক্তাদের।
রোববার দুপুর ৩টায় রাজধানীর গুলশানের বে’স গ্যালারিয়ার রেডিয়াস সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘প্রিজমের’ উদ্বোধন করবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
নিজেদের কথা নিজেদের চোখে ‘প্রিজম’ এর মাধ্যমে ব্রডকাস্ট মিডিয়ায় তুলে ধরবে শিশুরা।
প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা এবং বান্দরবানের ১০৫ জন শিশু প্রিজমের সঙ্গে কাজ করছে।
সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে বাছাই করা শিশুদের গত বছর থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ব্রডকাস্ট সংবাদকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রিজমের অংশগ্রহণকারীরা শিশুরা খবরের বিষয়বস্তু নিজেরাই বাছাই করে থাকে। আর প্রিজমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা কেবল সহযোগিতা করেন শিশুদের ধারণাকে প্রকাশ করতে।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই গত মার্চ মাসে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করে প্রিজম। prism.bdnews24.com এই লিংকে গিয়ে রোববার থেকে দর্শকরা শিশু ব্রডকাস্টারদের ধারণ করা ভিডিও সংবাদ দেখতে পারবেন।
উদ্যোক্তারা বলছে, ভবিষ্যতে শিশুদের মাল্টিমিডিয়া সংবাদকর্মী হয়ে গড়ে উঠতে সহযোগিতা করাই প্রিজমের অন্যতম লক্ষ্য।
প্রিজমের ‘কন্টেন্ট’গুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্রডকাস্ট মিডিয়াতেও সরবরাহ করা হবে।
এ উদ্যোগকে ‘নতুন ইতিহাসের সূচনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউনিসেফের বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ (ওআইসি) ড. লিয়ানি কুপেনস।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের শিশুদের জন্য এটি নতুন একটি ইতিহাস হতে যাচ্ছে। ইউনিসেফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে যৌথভাবে শিশুদের একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছে, যেখানে ব্রডকাস্ট মিডিয়ায় তারা নিজেদের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটাতে পারবে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা আশা করছি প্রিজমের মাধ্যমে শিশুরা তাদের সৃজনশীল ও পর্যালোচনা শক্তির চর্চা অব্যাহত রেখে আগামীর পেশাগত দক্ষতা অর্জন করবে।
“শিশু সাংবাদিকদের দ্বারা পরিচালিত বিশ্বে সম্ভবত প্রথম এই ভিডিও সংবাদ সার্ভিস (সংস্থা) চালুর ফলে সম্প্রচার মাধ্যমেও উঠে আসবে শিশু সাংবাদিকদের না বলা কথা।”
প্রাথমিকভাবে সাতটি জেলায় এর কার্যক্রম শুরু হলেও আগামীতে এই উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ারও আশা প্রকাশ করেন তিনি।