আওয়ামী লাগী সরকারের সময়ে বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক।
Published : 20 Aug 2024, 08:09 PM
সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
মঙ্গলবার সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়টি জানিয়েছেন।
শাজাহান ও মোস্তাফিজুর ছাড়াও আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল এবং তার সহধর্মিণী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানেও মাঠে নেমেছে দুদক।
২০১৪ সালে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে তলব করেছিল দুদক।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী ২০০৮ সালে শাজাহান খানের অস্থাবর সম্পদ ছিল প্রায় ৫৭ লাখ টাকার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়। দানসূত্রে ফ্ল্যাট ও বিপুল পরিমাণ জমির মালিকানার তথ্যও রয়েছে হলফনামায়। সম্পদের তালিকায় তার নামে দুটি গাড়ি, স্ত্রীর নামে ৯৬ ভরি সোনা, দুটি বাস, একটি গাড়ি ও একটি মাইক্রোবাস দেখানো হয়। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে রাজউকের ১০ কাঠার প্লট।
অপরদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনি হলফনামায় হেনরীর সম্পদের পরিমাণ ছিল আড়াই লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩২ কোটি টাকা সাদা করার অভিযোগ রয়েছে। নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, পটুয়াখালী ও রাজধানী ঢাকায় তার অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এবং কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে করা সিরাজগঞ্জে ‘হেনরী ভুবন’ বৃদ্ধাশ্রম তৈরির অভিযোগও রয়েছে দুদকে।
দুদদেক অসীম কুমার উকিল ও তার স্ত্রী অপু উকিলের বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অসীম কুমারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অর্থে ঢাকার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে ১৮ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাড়িতে দুই ইউনিটের সাততলা ভবন, তথা ১৪টি ফ্ল্যটের মালিক তিনি। ঢাকার ধানমন্ডি ১১ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাড়িতে তিনটি ফ্ল্যাট, নেত্রকোণর কেন্দুয়া পৌরসভার সাউদপাড়ায় রাজকীয় ব্যয়বহুল বাড়িরও রয়েছে অভিযোগে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতিরও অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দিনাজপুর-৫ আসন থেকে টানা আটবার এমপি হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে।