সচিবালয়ের সবকটি গেট খোলা থাকলেও এক এবং দুই নম্বর গেটে আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।
Published : 24 Jul 2024, 02:28 PM
কোটা আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতা ও কারফিউয়ের মধ্যে তিন দিন সাধারণ ছুটির পর খুলেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়।
বুধবার সচিবালয়ে ঘুরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি দেখা গেছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এদিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস চলবে। বৃহস্পতিবারও অফিস চলবে একই সূচিতে।
সচিবালয়ের সবকটি গেট খোলা থাকলেও এক এবং দুই নম্বর গেটে আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।
এছাড়া এক ও দুই নম্বর গেটের মাঝের অভ্যর্থনা কক্ষে দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত। তবে দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমের গাড়িগুলো থেকে সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিয়ে গাড়িগুলোকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দায়িত্ব পালনরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের নিচে লিফটের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন। এই ভবনের একটি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের একজন উপসচিব বলেন, “আমাদের মন্ত্রণালয়ে কর্মীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।"
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সচিবালয়ে উপস্থিত হন বেলা ১১টায়। এরপর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কিছু কাজ শেষ করে দুপুর ১টার দিকে বের হয়ে যান তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "অর্থ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় সকাল ১১টায় অফিসে এসেছেন, এখনও আছেন। আমাদের মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা কর্মচারিই নিজ নিজ কাজ করছেন। তবে ৩টা পর্যন্ত যেহেতু অফিস চলবে, আমাদের একটু দ্রুতই কাজ করতে হচ্ছে।"
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অফিস সহকারী বলেন, “একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন পর অফিস চালু হওয়ায় স্বস্তি লাগছে। জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।”
সচিবালয়ে পার্কিংও অন্যান্য দিনের মতই গাড়িতে পূর্ণ দেখা গেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর রোববার থেকে শুরু করে মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হতে থাকে। বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
এছাড়া ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে পরিস্থিতি বুঝে কারফিউয়ের সময়সীমা নির্ধারণ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
আদালতে উপস্থিতি কম
দেশে কারফিউ শিথিল থাকার সময় বুধবার অধস্তন আদালতে বিচারিক কাজ চললেও বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
ঢাকার হাকিম ও জজ আদালতে এদিন বিচারকরা বসলেও বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের পক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছে।