মিছিলকারীরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে কিছু সময় বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের একটি সাধারণ স্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
Published : 02 Aug 2024, 03:48 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থন জানিয়ে এবং ‘ছাত্রহত্যার’ বিচার দাবি করে জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার দুপুরে সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন কয়েকশ তরুণ।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে গণমিছিলে যোগ দেন।
মিছিলকারীরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে কিছু সময় বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের একটি সাধারণ স্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
পরে মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে এবং সিটি কলেজের সামনে গিয়েও তারা কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা রাস্তা আটকে রাখার পর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তারা স্থান ত্যাগ করেন।
পুরো এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ থাকলেও আন্দোলনকারীদের তারা বাধা দেননি।
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও জুমার পর মিছিল বের করে। বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগ ঘুরে প্রেস ক্লাবের সামনে বামপন্থি সংগঠন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সমাবেশে মিলিত হয় তারা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট থেকে ‘কওমি শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে ওই মিছিল শুরু হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে ও আশপাশে আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক জানান, মিছিলটি পল্টন মোড়ে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে প্রেস ক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে যায়।
সেখান থেকে মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধার মুখে ঘুরে আসে। জাদুঘরের সামনে ১৫ অগাস্ট শোক দিবস উপলক্ষে লাগানো বড় একটি প্যানাফ্লেক্স বোর্ড তারা ছিঁড়ে ফেলে।
সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে মিছিলটি আবার মৎস্য ভবন হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে অন্য একটি সমাবেশের সঙ্গে মিলিত হয়।
প্রেসক্লাবের সামনে আগে থেকেই একই দাবিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সমাবেশ চলছিল। সেই সমাবেশে কাউকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি। কেবলই স্লোগান চলছিল।
কওমি শিক্ষার্থীদের মিছিলটি সেই সমাবেশের সঙ্গে মিলে সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে। কয়েকশ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীও আছেন।
এর প্রতিবাদে প্রতিদিনই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ছাত্ররা।
বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনা এবং জুমার নামাজ শেষে ছাত্র ও জনতার গণমিছিলের ডাক দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।
এদিকে বৃহস্পতিবার ডিবি অফিস থেকে বাসায় ফেরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক এক যৌথ বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ডিবি হেফাজত থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের যে বিবৃতি তারা এর আগে দিয়েছিলেন, সেটা তারা ‘স্বেচ্ছায় দেননি’।
পুরনো খবর
ডিবি হেফাজতে বিবৃতি স্বেচ্ছায় ছিল না, ছয় সমন্বয়কের নতুন বিবৃতি