ভোটের প্রচারে সংঘাত: দায়িত্বে অবহেলায় দুই ওসিকে প্রত্যাহার

প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে হুঁশিয়ার করে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, পুনরাবৃত্তি ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং অচিরেই দৃশ্যমান আপডেট মিলবে।

ভোটের প্রচার ঘিরে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় ‘নির্লিপ্ততা ও দায়িত্বে অবহেলার’ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঝিনাইদহর শৈলকূপা ও হরিনাকুণ্ডু থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ডিসি ও এসপির তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

শনিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান বৈঠক করেন। সেখানে নির্বাচনের মাঠে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলেচনা হয়।

সরকারি দলের প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে পারছেন না এমন প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “যেকোনো ধরনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে আসবে। যেকোনো মাধ্যমে অভিযোগের প্রমাণ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে ও এসপির কাছে পাঠাব, তাদের তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

শুক্রবার দুটি আসনের তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “যে রিপোর্ট পেয়েছি তার আলোকে নির্লিপ্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যাহার করা হয়েছে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানা ও হরিনাকুণ্ডু থানার ওসিকে।”

ইসি সচিব জানান, ওসিরা সব জায়গায় নির্লিপ্ত নেই। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সরকারি দলের প্রার্থীরা বার বার কেন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা অনেককে শোকজ করেছি। ইনকোয়ারি টিমের যে সুপারিশ আসছে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব এবং অচিরেই দৃশ্যমান আপডেট পাবেন।”

বারবার সতর্ক করার পর জেল-জরিমানা ছাড়াও সর্বোচ্চ ব্যবস্থা হিসেবে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়েও সতর্ক করে দেন তিনি।

আরও পড়ুন:

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর হামলা: বসছে নির্বাচন কমিশন