রথযাত্রার দিন ঢাকার স্বামীবাগ থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আসা তিনটি রথ উল্টো পথে মঙ্গলবার বিকালে আবার স্বামীবাগে পৌঁছেছে।
Published : 27 Jun 2023, 06:14 PM
সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উল্টো রথযাত্রা।
নিয়ম অনুযায়ী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার সাত দিন পর মঙ্গলবার এ উৎসব পালিত হয়।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) বাংলাদেশের আয়োজনে গত ২০ জুন রথযাত্রার দিন স্বামীবাগ থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আসা তিনটি রথ ফিরতি পথে, অর্থাৎ উল্টো পথে মঙ্গলবার বিকালে স্বামীবাগে পৌঁছায়।
বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা করে উল্টো পথে যাত্রা শুরু করে রথ তিনটি। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এর উদ্বোধন করেন।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে জগন্নাথদেব, সুভদ্রা ও বলরামের প্রতিকৃতিসহ উল্টো রথের শোভাযাত্রাটি পলাশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, হাই কোর্ট মোড়, মতিঝিল হয়ে স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন বলেন, এ দেশ সব ধর্মের মানুষের। সবাই এখানে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেন জঙ্গিবাদ ও অপশক্তি ধ্বংস করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের কথা বলেন তিনি।
এদিকে উল্টো রথযাত্রাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর ছিল। লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মো. জাফর হোসেন জানান, যাত্রার সামনে, মাঝে ও শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন।
সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় রথযাত্রা। এর আটদিন পর উল্টো রথযাত্রা হয়।
গত ২০ জুন ঢাকার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) আশ্রমে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিল।
আর মঙ্গলবার একাদশী তিথিতে হচ্ছে প্রত্যাবর্তন। অর্থাৎ, রথটি প্রথম দিন যেখান থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, আট দিন পরে আবার সেখানেই ফিরিয়ে আনা হয়। একে বলে ‘উল্টো রথ’।