“আমরা আশা করব, কুচক্রি মহল যারা দেশের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের আপনারা (জনগণ) রুখে দাঁড়াবেন।”
Published : 25 Jun 2023, 09:27 PM
বিএনপির আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো চেষ্টার বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার সংসদে বাজেটের উপর আলোচনায় দাঁড়িয়ে তিনি এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে তা জনগণকে দুর্দশাগ্রস্ত করে তুলবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার মধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি বিএনপি যেমন জোরেশোরে তুলেছে, পশ্চিমা কূটনীতিকদের তৎপরতাও বেড়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে, তাতে বিএনপি জড়িত।
দেশবাসীকে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই করব। গত কয়েকটি নির্বাচনে তার প্রমাণ দিয়েছি। এগুলোর প্রত্যেকটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়েছে।”
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা আশা করব, কুচক্রি মহল যারা দেশের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের আপনারা (জনগণ) রুখে দাঁড়াবেন।
“আপনারা বারবার প্রমাণ করেছেন, কোনো বিদেশি শক্তির কাছে আপনারা পরাজিত হননি। এবারও আপনারা সরকারের সঙ্গে এক হয়ে বিদেশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলব।”
গত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, তা ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর জোর দিচ্ছে। যাতে করে কোনো ধরনের উন্মাদনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং আর্থ সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্ন না হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য বহু উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের থেকে সাবধান।”
তেমন হলে কী হবে, সেই বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করে মোমেন বলেন, “দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে, যাতে দেশের জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে। যে সমস্ত দেশ স্থিতিশীল তাদের জনগণ সুখে আছে। যে সমস্ত দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানাকার জনগণ কষ্টে আছে।”
দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “কোনো ধরনের প্ররোচনায়, কোনো তাগিদে দেশের অমঙ্গল ডেকে আনবেন না। কোনো দুষ্টু লোকের বাংলাদেশের সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকতে পারে। সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকার কারণে তারা দেশ ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমি তাদের বন্ধুদের বলবো সাবধান। দেশ ধ্বংস করলে আপনারও ক্ষতি হবে।”
বাজেট নিয়ে আলোচনায় আয় এবং আয়করদাতা বাড়ানোর জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রথমটি হল- যে সমস্ত বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে তারা প্রত্যেকে যেন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করে। দ্বিতীয়টি হল- যারা ২৫ হাজার টাকার উর্ধে লেনদেন করে, তারা যেন ব্যাংক বা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন। তাহলে সরকারের হিসাব থাকে।”