“যেহেতু অনুসন্ধান এবং তদন্তের পরিধি অনেক বেড়ে গেছে তাই চিন্তাভাবনা করছি কমিশনের সদস্য একজন থেকে তিনজনে উন্নীত করার।”
Published : 30 Jul 2024, 10:34 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্য ও কাজের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “তদন্ত কমিশনের টিওআর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন চলে গেছে। উনারা ২১ তারিখ পর্যন্ত সংগঠিত ঘটনার তদন্ত করতে পারবে না।
“যেহেতু অনুসন্ধান এবং তদন্তের পরিধি অনেক বেড়ে গেছে তাই চিন্তাভাবনা করছি কমিশনের সদস্য একজন থেকে তিনজনে উন্নীত করার।”
কোটাবিরোধী আন্দোলন সহিংসতার রূপ নিলে ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ বাঁধে। এর মধ্যে ঢাকা দুইজন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়।
ওই একদিনের ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির একমাত্র সদস্য বিচারপতি দীলিরুজ্জামান।
অবশ্য এই কমিটি গঠন করার পর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
১৬ জুলাইয়ের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা হয়, সেদিন মাঠে নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও। গোটা দেশে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে, এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় সম্পদে হামলা শুরু হয়। প্রাণহানির সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
রামপুরায় বিটিভি ভবন, মেট্ররেলের দুটি স্টেশন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট।
পরদিন পরিস্থিতির অবনতি হলে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করা হয় সারা দেশে। দুই দফায় তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে পুরো দেশ কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
সরকারি হিসাবে দেড়শ জন এবং গণমাধ্যমের হিসাবে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে ওই কয়েকদিনের কয়েকদিনের সহিংসতায়।
এ অবস্থায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের পরিধি বাড়ানোর কথা জানালেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন