বিচারক শুনানি নিলেও তাৎক্ষণিকভাবে আদেশ দেননি।
Published : 07 Nov 2022, 07:44 PM
হামলা থেকে রক্ষা না করে উল্টো হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতে গেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল।
তার মামলার আবেদনে ঢাকার বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। তার সঙ্গে আসামির তালিকায় নাম দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতা-কর্মীকে।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলার আবেদনটি করা হয়। তাবিথের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে ছিলেন বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
আরেক আইনজীবী কালাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ শুনানি নিলেও বিচারক কোনো আদেশ দেননি।”
মামলার আরজিতে হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনের ধারা প্রধান ধারা হিসাবে যুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় তা যুক্ত করা নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বরের এক ঘটনা নিয়ে মামলার এই আবেদন করেন ঢাকা উত্তরের গত নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ।
বনানীতে হামলায় আহত হয়ে বিএনপির তাবিথ হাসপাতালে
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ দলের তিন নেতা নিহতের প্রতিবাদে সেদিন সারাদেশে সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালনের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। তাবিথসহ নেতা-কর্মীরা সেদিন বনানীতে কর্মসূচি পালনের পর হামলার শিকার হয়েছিলেন।
ওই হামলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছিল অভিযোগ করে তাবিথ বলেন, কর্মসূচিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বনানী থানার ওসিকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হতে হয় তাদের।
মামলার আরজিতে তাবিথ আসামি করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাছির, শ্রমিক লীগের কর্মী বাবু, শফিক, বনানী থানা যুবলীগের কর্মী শ্যামল, দোলন, রনি, ববি, সাগর, মামুন ও ফারুককে।
এছাড়া আরও ২০০-৩০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এবং বনানী থানার অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন পুলিশ সদস্যকেও আসামি করা হয়েছে।