“দেশের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন,” বলেন তিনি।
Published : 28 Jun 2024, 04:43 PM
বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের এখন ‘উপদেশ দেওয়ার সময়’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, “বিশ্বের ভবিষ্যৎ কী ধরনের হওয়া উচিত, আমেরিকার বৈদেশিক নীতি কী ধরনের হওয়া উচিত- সেগুলোতে আমরা এখন উপদেশ দেব। আমাদের এখন উপদেশ নেওয়ার সময় না, উপদেশ দেওয়ার সময়।”
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'আওয়ামী লীগের সফল এবং গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
মোমেন বলেন, “আমেরিকা যদি তাদের ফরেন পলিসি পরিবর্তন করে এবং দুনিয়ার মানুষের কথা চিন্তা করে, তাহলে তারা বিশ্বের নেতা হবে।
“কাজেই দুনিয়া নিয়ে ভাবার সময় আমাদের এখন এসেছে। আমরা তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। সেই জন্য গবেষণা দরকার।”
আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের যাত্রা ‘বিস্ময়কর’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ বাঙালিদের একটি আত্মপরিচয় দিয়ে গেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন।
“এ অর্জনের পেছনে যার অবদান, তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীন করেনি, এদেশকে একটি শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা যা দরকার, সব করেছেন। স্বাধীনতার অল্প সময়ে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি ও বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদও লাভ করেছেন। ৯ মাসের মাথায় শাসনতন্ত্র তৈরি করেছেন।”
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আজকে আমরা খুবই ভাগ্যবান বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ শাসন করছে। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
“দ্বিতীয়ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। তৃতীয়ত এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে। সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হাতছানি দিচ্ছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, মুসলিম লীগ যখন এ অঞ্চলের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে, তখন আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে মানুষের কণ্ঠস্বর। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ আজকে ঋদ্ধ একটি দল।
“আজকে নানাভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। হ্যাঁ চ্যালেঞ্জ আছে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে তিনি টেরোরিজমের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা ঘোষণা করেছেন। আশা করি, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও শূন্য সহিষ্ণুতা ঘোষণা করবেন।”
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আলম খান বলেন, “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব খুব শিক্ষিত ছিলেন না। তবে তার দূরদৃষ্টি বঙ্গবন্ধুকে অনেক সহযোগিতা করেছে। তিনি বুঝতে পারতেন আওয়ামী লীগের কোন নেতা কী ভূমিকা পালন করছে। তাকে নিয়ে গবেষণার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে।”
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “আমাদের ইতিহাস বলে, আমরা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি। আমরা যুদ্ধ চাই না। বাঙালি মনুষত্ব ও মানবিকতার জাতি। এটাই আওয়ামী লীগের দর্শন।”
এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) আয়োজিত এ সভায় বক্তব্য দেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানও বক্তব্য দেন।