আইজিপি বলেন, ২৮ অক্টোবর হামলার ঘটনায় যারা পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
Published : 06 Feb 2024, 05:38 PM
গত বছর ২৮ অক্টোবরে নয়া পল্টনে বিএনপি সমাবেশ ঘিরে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাসময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, “সবগুলোর (মামলা) তদন্ত যথাযথভাবে চলমান রয়েছে। যারা জড়িত যথাসময়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং যারা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।”
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে বিএনপির সমাবেশের দিন আহত পুলিশ সদস্য মো. রাজ্জাক দেখতে এসে কথা বলছিলেন আইজিপি।
গেল বছরের ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশের দিন হামলার শিকার হন ডিএমপির প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাক।
জিআই পাইপ ও লাঠিসোঁটার আঘাতে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া রাজ্জাককে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ১২ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর রাজ্জাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আইসিইউতে রাজ্জাক ছিলেন আরও ২০ দিন। দিল্লিতে দুই মাস চিকিৎসার পর রাজ্জাককে গত ১১ জানুয়ারি দেশে ফিরিয়ে এসে রাজারবাগে পুলিশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।
দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এরপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাজধানীর কয়েকটি থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেককে।
আইজিপি আল মামুন বলেন, “২৮ অক্টোবর সমাবেশে যারা এসেছিলেন তাদের এবং আশপাশের লোকজন ও সরকারি সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে আমাদের পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। আর নায়েক রাজ্জাকের ওপরও পৈশাচিক আক্রমণ করা হয়েছে, এখনো তিনি শংকামুক্ত নন।”
পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মনোবল অটুট আছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছি।”