Published : 01 May 2025, 04:18 PM
‘গণতান্ত্রিক’ শ্রম আইন, স্থায়ী মজুরি কমিশন ও ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুবিধা, অর্জিত ছুটি কিংবা নৈমিত্তিক ছুটির বিষয়সহ শ্রম আইনের বিদ্যমান সকল বৈষম্য দূর করতে হবে।
আউটসোর্সিং ও দৈনিক মজুরি নামে শ্রমিকদের সুরক্ষা হরণ বন্ধ করতে হবে এবং স্থায়ী কাজে শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে হবে। সর্বস্তরের শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে স্কপের যুগ্ম আহ্ববায়ক চৌধুরী আশিকুল আলম, সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন, স্কপ নেতা আহমেদ আবদুল কাদের হাওলাদার, আহসান হাবিব বুলবুল, সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল হাসান নয়ন, কার্যকরী সভাপতি আঁখি, অ্যাপ বেইজড ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়নের সভাপতি বেলাল ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা ও বিক্ষাভ মিছিল করেন বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিক ও নেতা-কর্মীরা।
‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে পালিত হচ্ছে মে দিবস।
এ উপলক্ষে স্কপ ছাড়াও কয়েকটি সংগঠন আলাদা কর্মসূচি পালন করেছে।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, “দেশে প্রায় সাত কোটি শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা নেই। তারা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। শ্রমিকের উন্নয়ন ছাড়া দেশের টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না।
“তাই আমরা শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও সঠিক মজুরি নিশ্চিত করতে স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠন করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।”
গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে। সরকারি খাতের মত বেসরকারি খাতের নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করতে হবে। দুই ঈদে উৎসব ছুটি ১১ দিন ও উৎসব ভাতা তিনটি দিতে হবে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল হাসান নয়ন বলেন, শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী মজুরি কমিশন গঠন করতে হবে। সেইসঙ্গে জাতীয় নিম্নতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা করতে হবে। অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন, সামাজিক সুরক্ষা, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ সমতা-মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
পোশাক খাতের শ্রমিকদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যাদের রক্ত আর ঘামের উপর দাঁড়িয়ে আছে দেশ, তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। শ্রমিকদের মূল্যায়ন করতে হবে এবং যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।”