রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও হোস্ট কমিউনিটিতে ৬০টি সমন্বিত শিশু বিকাশ কেন্দ্র পরিচালনা করছে প্ল্যান বাংলাদেশ
Published : 13 Dec 2022, 08:31 PM
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার তাদের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে ইউনিসেফের একটি প্রকল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় মিজানুর রহমান বলেন, “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নানা চ্যালেঞ্জ এখনো রয়েছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকার এক্ষেত্রে গুরুত্ব সহকারে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মামুনুল আলম বলেন, “রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভাষাগত ও যোগাযোগ দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
‘প্রোভাইডিং আর্লি চাইল্ডহুড অ্যান্ড বেসিক এডুকেশন ফর রোহিঙ্গা অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটি চিল্ড্রেন’ নামের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ।
সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক স্কুলের জন্য প্রস্তুত করতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও হোস্ট কমিউনিটিতে ৬০টি সমন্বিত শিশু বিকাশ কেন্দ্র পরিচালনা করছে তারা।
এ কেন্দ্রগুলো শিশুদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সল্যুশন মেকানিজম’ হিসেবে কাজ করবে মন্তব্য করে ইউনিসেফের এডুকেশন স্পেশালিস্ট ফ্রেডরিক লিংকনেক্ত বলেন, “তারা এখানে শুধু শিখবেই না বরং বিকশিত হবে। প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্কুলের জন্য তৈরি হবে, তাদের শিক্ষার পথ সুগম হবে।”
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস শিক্ষার পাশাপাশি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে রোহিঙ্গা এবং হোস্ট কমিউনিটির নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন।