সভায় লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, খুলনা ও ভোলার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ওপর চালানো একটি গবেষণার প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
Published : 23 Jan 2025, 10:45 PM
নিজেদের দাবি আদায়ে দেশের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ‘মাঠের আন্দোলন’ চালিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, “আমাদের সবাইকে ঔপনিবেশিক ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শ্রম সংস্কার কমিশন তার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দাবি বিবেচনা করবে।
“একই সঙ্গে তাদের জায়গা থেকে যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি আদায়ে মাঠের আন্দোলনও চালিয়ে যেতে হবে। আশা করছি পরিচ্ছন্নতাকর্মী তথা দলিত-হরিজনদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য ও বঞ্চনার অবসান হবে।"
তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নাগরিক উদ্যোগ’ ও ‘বাংলাদেশ স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ফোরাম’ এই সভা আয়োজন করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
‘পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজের নিশ্চয়তা, মজুরি বৈষম্য ও সামাজিক মর্যাদা’ শীর্ষক সভায় একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ফারহান হোসেন জয়। লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, খুলনা ও ভোলার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়।
সভায় আলোচকদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওরের (কাপ) নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পরিচালক (লিগ্যাল) বরকত আলী এবং সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনাও উপস্থিত ছিলেন।
সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, "পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রবল। তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি শোভন কর্মপরিবেশ, মর্যাদা ও সম্মানজনক মজুরি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।"
বরকত আলী বলেন, "পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সামাজিক স্বীকৃতি নেই। পুনর্বাসন ছাড়া তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। চলতি বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেডে ৮২৫০ টাকা মূল বেতন, আনুষঙ্গিক মিলে প্রায় ২০০০০ টাকা পান একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। “অথচ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যে নামমাত্র মজুরি বা বেতন পান, তার সঙ্গে এর আকাশ-পাতাল তফাত।”