একটি আইজিডব্লিউ অপারেটরের মাধ্যমে তারা ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৬০৩ টাকা পাচার করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে দুদক।
Published : 15 Jan 2025, 08:25 PM
নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, তার স্ত্রী সালমা ওসমান ও শ্যালক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বুধবার সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মামলার দায়েরের প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবারের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
বিটিআরসি থেকে আইজিডব্লিউ (ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে) লাইসেন্স পাওয়া ‘কে টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পনির মাধ্যমে ওই অর্থ তারা ‘বিদেশে পাচার করেছেন’ বলে তথ্য দিয়েছেন দুদকের এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, কে টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেড আন্তর্জাতিক বা বিদেশি ইনকামিং কল বা সেবা দিয়ে থাকে। এর জন্য মূল্য বাবদ অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আইজিডব্লিউ অপারেটরের ব্যাংকিং চ্যানেলে ফরেন কারেন্সি (এফসি) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কোম্পানির চেয়ারম্যান সালমা ওসমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ সেই অর্থ দেশে না এনে মানিলন্ডারিং আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।”
অভিযোগের বর্ণনায় আক্তার হোসেন বলেন, কে টেলিকমিউনিকেশন্স ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত (১৪ মাস) ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৫ কল মিনিট সেবা দেয়, যার মূল্য ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৬ ডলার।
কিন্তু নারায়ণগঞ্জের আইএফআইসি ব্যাংকের শাখা থেকে পাঠানো কোম্পানিটির সংশ্লিষ্ট হিসাব বিবরণীতে দেখা যায়, ১৪ মাসে যে অর্থ দেশে আসার কথা, সেখানে ২২ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৭ ডলার আনা হয়েছে। অর্থাৎ ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ ডলার, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৬০৩ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
দুদকে এই কর্মকর্তা বলেন, সালমা ওসমান ও তানভীর আহমেদকে অর্থপাচারে সহযোগিতা করেছেন শামীম ওসমান। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।