তাদের আন্দোলনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিল পাস আটকে গেছে।
Published : 14 Sep 2024, 04:13 PM
বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি দিতে যাচ্ছেন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় নিরীক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত অডিটররা।
মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি), হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) ও কন্ট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) কার্যালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের ১১তম গ্রেডের প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা ২৫ অগাস্ট থেকে কর্মবিরতিতে আছেন। তবে দাবি পূরণ না হওয়ায় এখন তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমরণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী।
সিজিএ কার্যালয়ে কর্মরত অডিটর শাহিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রেড ও পদমর্যাদা বাড়ানোর দাবি আমরা দীর্ঘ দিন ধরে জানিয়ে আসছি। বিভিন্ন সময়ে স্মারকলিপিসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়েছে।
“হাই কোর্টে রিটও করা হয়েছে, অডিটর পদকে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে আদালত থেকে আদেশ দেওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের আদেশেও বহাল রেখেছে “
তিনি বলেন, “আমরা গত মাসের ২৫ তারিখের পর থেকে কর্মবিরতিসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু এর কোনো সুরাহা হয়নি। সরকারি অর্ডার ছাড়া আমরা আন্দোলন থেকে নড়ছি না।
“আমাদের আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা কালকে আমরণ অনশন কর্মসূচিসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।”
আরেক আন্দোলনকারী আহমেদুর রহমান ডালিম এক বিবৃতিতে বলেন, “একই পদে দুই ধরনের বেতন থাকাটা কখনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এমন বিষয় কর্তৃপক্ষকেই নৈতিকভাবে এবং দায়িত্বশীল হয়ে সমাধান করা প্রয়োজন।
“২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা রিট পিটিশনের রায় সিএজি ও অধীনস্ত অফিসের পদকে ১১তম গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে উন্নত করার পক্ষে রায় দেয়। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ শুধু ৬১ জন মামলার পক্ষভুক্ত রিট পিটিশনারকে ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার আদেশ প্রদান করে।”
ডালিম বলেন, “পরে অন্যান্য অডিটররা ধারাবাহিক কনটেম্পট পিটিশন দায়ের করতে থাকে এবং আদালত সব মামলাতে অডিটর পদকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু অর্থ বিভাগের একটি দুষ্টু চক্রের কারণে আর কেউ দশম গ্রেডে উন্নীত হতে পারেনি।”
আন্দোলনকারীরা জানান, বিষয়টি সুরাহা করতে গত ১২ আগস্ট অর্থ বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি দেন অতিরিক্ত উপ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (পার্সোনেল)। পরের দিন অর্থ বিভাগ চিঠি দিয়ে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত জানতে চায়। পরে এ বিষয়ে আর অগ্রগতি না হওয়ায় ২৫ অগাস্ট থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে সিএজি ও সিজিএ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অডিটররা সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখে বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অন্য গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংহতি প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এই আন্দোলনের কারণে দেশের সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিল পাস আটকে গেছে।