তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।
Published : 11 Oct 2022, 09:42 PM
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকীর সভায় হামলার পর ছাত্রলীগের দুই নেতার করা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুব আহমেদ এই আদেশ দেন। আসামিদের অন্যতম আইনজীবী মো. পারভেজ এ তথ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন।
আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, “এজাহারে বলা হয়েছে যে আসামিরা হাসপাতালের নার্স এবং চিকিৎসকদের ওপর হামলা করেছে, মারপিট করেছে। তারা কিন্তু বাদী হয়ে মামলা করেনি।
“তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষার্থীর বিভিন্ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা তাদের পরীক্ষার রুটিন-সিডিউল দাখিল করেছি। তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক।”
রাষ্ট্রপক্ষে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই নিজামউদ্দিন ফকির।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচের আদেশ দেন।
গত ৭ অক্টোবর ওই সভা আয়োজনের সময় ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। আহত সহকর্মীদের নিয়ে পরিষদের নেতা-কর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে সেখানেও চড়াও হয়েছিল ছাত্রলীগ। দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে সেখান থেকে ছাত্র অধিকারের ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি হামলায় পণ্ড
গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কারাবরণে আদালত পানে নূরদের পদযাত্রা
এরপর আটকদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ এনে মামলা করেন সংগঠনের দুই কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন- মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।
মামলার অভিযোগ করা হয়েছে, ৭ অক্টোবর আসামিরা কাউকে কিছু না জানিয়ে পরিকল্পিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। তারা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশে বেআইনিভাবে সমাবেত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য ও স্লোগান দেয়। তারা দেশের সরকার, সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও বক্তব্য দেয়।