‘খোদার প্রতিশোধে’ খুশি, তবু ফেরার প্রশ্নে রোহিঙ্গাদের ‘না’

“আরাকান আর্মি এখন সরকারি বাহিনীকে মারছে, পরে দেখা যাবে আমাদেরও মারছে” বললেন সাত বছর আগে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা নুরুস সালাম।

গোলাম মর্তুজা অন্তুমিয়ানমার সীমান্ত থেকে ঘুরে এসেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2024, 07:32 PM
Updated : 11 Feb 2024, 07:32 PM

নাফ নদী পেরিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বিপর্যস্ত অবস্থায় বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার ভিডিও এখন ঘুরছে রোহিঙ্গাদের মোবাইলে মোবাইলে। যাদের নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়তে হয়েছিল, তাদের এই অবস্থাকে ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ’ বলছেন তারা।

ফেইসবুকের রোহিঙ্গা গ্রুপগুলোতে বিজিপি সদস্যদের ওই ভিডিওগুলো দিয়ে উচ্ছ্বাস জানাচ্ছেন তরুণরা। তবে দেশে ফেরার প্রশ্নে আরও নেতিবাচক হয়েছে তাদের অবস্থান।

মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানো তো দূরের কথা, উল্টো বাংলাদেশে ঢুকতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের ঠেকানোই নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের ওপারের সংঘাতের আঁচ লেগেছে এপারেও। ওপারের গুলি, গ্রেনেড এসে এপারেও লোকজন হতাহত হয়েছে। তীব্র গোলাগুলির শব্দে এক পর্যায়ে ঘর ছাড়তে হয় আতঙ্কিত মানুষজনকে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষা কিছু এলাকায় গোলাগুলি কমার পর মানুষজন ঘরে ফিরলেও স্বস্তি ফেরেনি। মালপত্র বস্তায় বেঁধে রেখেছে পরিবারগুলো, যাতে আবারও গোলাগুলি শুরু হলে ঘর ছাড়তে পারেন।

টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার মানুষের ঘুম ভাঙছে গোলাগুলির শব্দে। সীমান্তের এক কিলোমিটার দূরের বাড়ির চাল ফুটো করে বারান্দায় গেঁথে থাকছে ওপারের গুলি।

এর মধ্যেই ওপার থেকে যুদ্ধের ধাওয়ায় এপারে আসার জন্য অনেক মানুষ অপেক্ষা করছেন বলে জানাচ্ছেন সীমান্ত গ্রামগুলোর জনপ্রতিনিধিরা। তবে বিজিবি বলছে, তারা সতর্ক, নতুন করে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না।

‘প্রয়োজনে অন্য দেশে, তবু মিয়ানমারে না’

শুক্রবার বান্দরবানের সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কথা হচ্ছিল ক্যাম্প ১০ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা নুরুস সালামের সঙ্গে। আট সন্তানের বাবা মধ্য ত্রিশের সালামের কোলে তখন তার ছয় মাসের কন্যাশিশু।

২০১৭ সালে নিজের সন্তানদের বুকে ধরে নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার স্মৃতিচারণ করে সালাম বলছিলেন, “নিজের জমিন তো কেউ ছাড়তে চায় না। ওপারে আমি কৃষি-খামার করেই ছেলে-মেয়েদের বড় করতে পারতাম। কিন্তু তারা তাও করতে দিল না। এখন দেখেন ওরাই কেমন ওপার থেকে ধাওয়া খেয়ে নদী পেরিয়ে কাদামাখা গায়ে এ দেশে আশ্রয়প্রার্থী হয়েছে। এগুলো সব খোদার প্রতিশোধ, তিনি সবই দেখছেন।”

দেশে ফিরে যেতে চান কি না- সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা পরিস্থিতি শান্ত হলে (ওপারে) ফিরে যাব। এ রকম পরিস্থিতি থাকলে যাব না। আমার চারটা মেয়ে, আপনাকে বুঝতে হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাব, কিন্তু মিয়ানমার ফিরে যাব না।”

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করা আরাকান আর্মি ও অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদেরকে নিরাপদে রাখবে, এমন আশা নেই সালামের।

তিনি বলেন, “এই বিদ্রোহীরাও আমাদের ভালো রাখবে না। আরাকান আর্মি এখন সরকারি বাহিনীকে মারছে, পরে দেখা যাবে আমাদেরও মারবে। তাদের ওপর আমাদের ভরসা নাই।

“বাংলাদেশ যে নিয়মে চলছে সে নিয়মে যদি মিয়ানমারও চলে তাহলে ফিরে যাব। বাংলাদেশের মত সেখানে যদি স্থির কোনো সরকার আসে, তখন তারা যদি আমাদের নিতে চায়, তাহলে আমরা যাব।”

ফেরা হয়নি সাত বছরেও

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইন (আরাকান) রাজ্য থেকে বাংলাদেশে স্রোতের মত ঢুকতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। যেখানে আগে থেকেই ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ওই বছরের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে সইও করে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি রোহিঙ্গারা, ভেস্তে যায় আলোচনা।

এরপর আসে কোভিড মহামারী, রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগেও ঢিল পড়ে। বিশ্বজুড়ে সেই সংকটের মধ্যেই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সু চির সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সামরিক জান্তা জেনারেল মিন অং হ্লাইং। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আসে নতুন ‘বাধা’।

‘অধিকার না দিলে যাব না’

গত তিন বছর ধরে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দেশটির জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। বিদ্রোহীদের তুমুল আক্রমণে এখন চাপের মুখে জান্তা সরকার। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সেনাপোস্টের দখল হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) স্থাপনাগুলো এখন বিদ্রোহী আরাকান আর্মিদের দখলে।

জান্তা সরকার দখল হারালেও রোহিঙ্গারা আস্থা পাচ্ছেন না। কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইউনূসও বলছেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটা হতে হবে দুই দেশের সরকারের মধ্যে। বিদ্রোহীদের ওপর তাদের কোন আস্থা নেই।

ইউনূসের ছেলে রফিক মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢোকার সময় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢোকা ২৩ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর একজন রফিক বলে পুলিশের ভাষ্য।

তবে ইউনূস বলছেন, তার ছেলে সীমান্তে ‘কাজ’ করতেন। যদিও কী কাজ করতেন, তা তিনি জানেন না।

রফিককে পুলিশ কক্সবাজার আদালতে নিলে সেখানে ছেলেকে দেখতে এসেছিলেন ইউনূস, কথা হয় সেখানেই।

এখন কেন দেশে ফিরতে চান না– এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমার নিজের দেশ, অবশ্যই ফেরার ইচ্ছা আছে। এর আগে আমাদেরকে বলা হয়েছিল আমাদের নাগরিকত্বের কার্ড ও অধিকার দেওয়া হবে। এখন বর্মায় (মিয়ানমারে) হিন্দু, বড়ুয়া, মগ এরা সবাই যে অধিকার নিয়ে চলে আমাদেরও সেই অধিকার ও স্বাধীনতা দিতে হবে। ওভাবে চলতে না পারলে সেখানে গিয়ে লাভ কী?”

সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যারা লড়াই করছে তাদেরকেও ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “তারা কোনোদিন দেশ নিতে পারে না। তারা মারামারি করতে পারবে, কিন্তু দেশ চালাতে পারবে না।”

রোহিঙ্গা সশস্ত্র যোদ্ধা নবী হোসেন ভিডিও বার্তায় রোহিঙ্গাদের ওপারে যাওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে সায় নেই ইউনূসের।

তিনি বলেন, “সে তো সন্ত্রাস। সে আগেও আমাদের মারছে। এখন আমরা ওখানে গেলে আমার যুদ্ধের মধ্যে পড়ব।”

কক্সবাজার আদালত চত্বরে দেখা হয় তরুণ রোহিঙ্গা মো. আইয়ুবের সঙ্গে। তিনিও ‘সংঘাতের মধ্যে দেশে ফেরার প্রশ্নই ওঠে না’ বলে মন্তব্য করলেন।

২৪ বছরের এই তরুণ বলছেন, “যে সে ডাকলেই আমরা যাব না। বাংলাদেশ সরকার আমাদের দায়িত্ব নিয়েছে। তারা যদি আমাদের মিয়ানমারের সরকারের হাতে বুঝিয়ে দেয় তাহলেই কেবল আমরা যাব। এখানে জাতিসংঘকে মধ্যস্থতা করতে হবে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই সরকারের মধ্যে যে সিদ্ধান্ত হবে আমরা তা মেনে নেব।”

এখানে তো তারা কোনো কাজ করতে পারছে না, তাদের শিশুরা শিক্ষাসহ বিকাশের সুযোগও সেভাবে পাচ্ছে না। তবুও তারা কেন নিজের দেশে ফিরতে চান না?- আইয়ুব বলেন, “জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আমরা নিজের দেশে ফিরতে পারলে ঠিকই ক্ষেত-খামার করে খেতে পারব। অন্যান্য কাজও করতে পারব।”

অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আরও রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের গ্রামগুলো একেবারেই সীমান্ত ঘেঁষা। নাফ নদী পেরোলেই বাংলাদেশ। একই রকম সীমান্ত রয়েছে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নেও।

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলছেন, তার ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা বিভিন্ন এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গারা নৌকা নিয়ে ঢোকার অপেক্ষায় আছে বলে স্থানীয়রা তাকে খবর দিয়েছেন। তারা সতর্ক আছেন, বিজিবির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। এবার এবার কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না।

পালংখালী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলতাজ আহমেদ বলছেন, গ্রামের মানুষ সজাগ আছে। বিজিবিও আছে এখানে। আমরা সবাই মিলে এবার কাউকে ঢুকতে দেব না।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলছেন, “গত তিন দিনে বিজিবি সদস্যরা বাংলাদেশে ঢোকার সময় ছয়জন রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করেছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা নাফ নদীতে ডিঙি নৌকায় অবস্থান করছে বলে স্থানীয়রা খবর দিয়েছে। আমাদের জনপ্রতিনিধি, গ্রামবাসী সবাই সজাগ আছে যেন কেউ ঢুকতে না পারে।”

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী গত বুধবার বলেন, তারা দুই দফায় ৭৫ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছেন, যারা নাফ নদীতে নৌকায় করে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। এরপর কোস্টগার্ডকে বলে সেখানে কোস্টগার্ডের টহলও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রত্যাবাসন ‘আরও অনিশ্চিত’

বাংলাদেশের বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম মনে করছেন, এই সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে গেল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যুদ্ধের ধাওয়ায় আরও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এবার আর মানবিকতা দেখানোর সুযোগ আমাদের নেই। যারা আসছে ওদের অন্য পথ দিয়ে ‘পুশ ব্যাক’ করতে হবে। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে বিজিবি সীমান্ত একেবারে ‘সিলড’ করে দিতে পারে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এম শহীদুল হক মিয়ানমার দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মিয়ানমারের এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে তিনিও চিন্তিত আরও শরণার্থীর সম্ভাব্য ঢল নিয়ে। তিনি মনে করেন, এখন আমাদের আর শরণার্থীর ভার বহনের সক্ষমতা নেই।

“তারা যদি আবার আগের মত ঢুকতে শুরু করে তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে। যা আমাদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলবে।

“২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমরা যে নীতিতে ছিলাম সেটা এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো ফল দেয়নি। আমরা কোনো ফলাফল পাইনি। আমি আশা করব এবার সরকার তাদের নীতি বদলিয়ে প্ল্যান-বি অ্যাপ্লাই করবে।”

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) ইনস্টিটিউট অব টেরোরিজম রিসার্চের প্রধান শাফকাত মুনীর বলছেন, “এটা এখন শুধু বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরে যাওয়ার ইস্যু নয়, আমাদের ভাবতে হবে যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, যদি মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেঙে পড়ে, তখন আমরা সেটা কীভাবে মোকাবেলা করব।

“অবশ্যই আমাদের অগ্রাধিকার হবে যাতে কোনো অনুপ্রবেশ সেখান থেকে না ঘটে। তবে এর যে ভূরাজনৈতিক এবং ভূকৌশলগত নিরাপত্তার বিষয়গুলো আছে, সেগুলো আমাদের গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

মিয়ানমারের সংঘাতের ফলে নতুন করে শরণার্থী ঢুকে পড়ার আশঙ্কার প্রশ্নে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবে বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়টা তো আমাদের বিজিবি, আর্মড পুলিশ দেখভাল করছে।”

আর ওপারে সংঘাতের ফলে প্রত্যাবাসন আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এই বিষয়গুলো দেখভাল করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আমরা তো ক্যাম্পের ভেতরে কাজ করছি।”