এর আগে রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের জন্যও একই সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছিল।
Published : 27 Feb 2025, 09:47 PM
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সদস্যরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা পাবেন। এ ছাড়া বিচারপতিদের মত বেতন-ভাতা ও অন্য সুবিধাও পাবেন তারা।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নির্দিষ্ট করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিশনের কোনো সদস্য বেতন ছাড়া কাজ করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা না নিতে চাইলে সেটি প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন দেবেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
কমিশনে সহসভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আর সদস্য হিসেবে আছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর বিভিন্ন সুপারিশ বিবেচনা ও জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তির সঙ্গে আলোচনা করবে এই কমিশন।
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
গণআন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে।
অক্টোবর ও নভেম্বরে দুই ধাপে গঠন করা ১১টি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান সুযোগ সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।