আপাতত আসবে ৪০ মেগাওয়াট। তবে বাংলাদেশ চায় মোট ৫০০ মেগাওয়াট।
Published : 31 Jan 2024, 06:38 PM
নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বিদ্যুৎ আমদানির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নেপাল থেকে ভারত হয়ে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির সব প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। আরও ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টির আগ্রগতি দৃশ্যমান।
“এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হবে। এ কমিটি নেপালের সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবসা কীভাবে আরো বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করবে।”
নসরুল হামিদ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান নেপালি দূত।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের জ্বালানি সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। একসঙ্গে কাজ করলে দুই দেশই লাভবান হবে।”
বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি হতে পারে বলেও মত দেন নেপালি রাষ্ট্রদূত।
গত ৭ ডিসেম্বর নেপাল থেকে সরাসারি ক্রয় পদ্ধতিতে ভারত হয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন পায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে।
নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। এ বিদ্যুৎ আমদানি করতে ব্যবহার করা হবে ভারতীয় সঞ্চালন লাইন। তাই এ নিয়ে তিন দেশের একটি চুক্তি থাকতে হবে।
নেপাল ও বাংলাদেশ ২০১৮ সালে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিল।
বিদ্যুৎ সরবরাহে বৈচিত্র্য আনতে ও জ্বালানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বাড়াতে বাংলাদেশ বাহ্যিক উৎসের দিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে আগ্রহী।