৫ অগাস্ট বেগমগঞ্জ থেকে মিছিলে যোগ দিয়ে সোনাইমুড়ি থানায় গেলে সেখানে গুলিবিদ্ধ হন আসিফ।
Published : 16 Aug 2024, 07:18 PM
প্রবল গণআন্দোলন ও জনরোষের মুখে শেখ হাসিনার পতনের দিন বিকালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার সামনে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. আসিফ (২৬) নামে এক দোকানি মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।
আসিফ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের মোরশেদ আলম ও আয়েশা বেগম দম্পতির সন্তান।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩ আগস্ট থেকে অসহযোগের ডাক দিয়ে পরে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করে।
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বিকালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার সামনে বিক্ষোভের মধ্যে সহিংসতার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আসিফ।
আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আফিসকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় হামলা, চার পুলিশসহ নিহত ৭
আসিফের স্বজনরা জানান, আসিফ কিছুদিন আগে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এলাকার একটি দোকানে কাজ নেন। ৫ অগাস্ট বেগমগঞ্জ থেকে মিছিলে যোগ দিয়ে সোনাইমুড়ি থানায় গেলে সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
৫ অগাস্ট বিকাল ৫টার দিকে সোনাইমুড়ী থানায় হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চার পুলিশসহ সাতজন নিহত হন। সেদিন সেখানে শতাধিক মানুষ আহত হন।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহামেদ বলেন, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত আরেকজনের পরিচয় শনাক্ত
উত্তরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় নিহত আরেক ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহত জসিম উদ্দিন সরকার (২৫) নামের ওই ব্যক্তি পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন।
পরিবার ঢামেক হাসপাতালের মর্গে এসে নিহতের পরিচয় শনাক্তের পর শুক্রবার তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে তার মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৫ অগাস্ট বিকালে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় গুলিতে আহত হন জসিম। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চললেও শুক্রবাবের আগ পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায় না।
অজ্ঞাত অবস্থায়ই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ অগাস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৃত্যু হয় জসিমের। পরে নিহতের স্ত্রী বানেছা আক্তার এসে তার মরদেহ শনাক্ত করেন। তিনি জামালপুর মেলান্দ উপজেলার নয়ানগর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
শাহাবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম শাহরিয়ার জীবন স্টালিন বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।