পুলিশ সুপার বলেন, “সব মিলিয়ে তখন ১৩ জন পুলিশ সদস্য সেখানে ছিলেন। এখন পর্যন্ত চার পুলিশ সদস্যের মরদেহ পাওয়া গেছে।”
Published : 06 Aug 2024, 03:01 PM
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চার পুলিশসহ সাত জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকাল পৌনে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার সংঘর্ষের সময় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই মো. বাছির, এএসআই মো. নাছির, কনস্টেবল মোশারফ ও গিয়াস।
এ ছাড়া সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিনের শরীরে পাঁচটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরের দিকে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকায় জড়ো হয়। এরপর তারা সেখানে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে আনন্দ মিছিল থেকে কয়েকজন সোনাইমুড়ী থানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশ গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন।
এরপর উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালালে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আরও শতাধিক লোক আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ৩৪ জনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও রয়েছে বলে জানা যায়।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার দিকে গুরুতর জখম অবস্থায় ৩৭ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে তিনজনকে মৃত আনা হয়। বর্তমানে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহতদের বেশির ভাগই সোনাইমুড়ীর।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “সব মিলিয়ে তখন ১৩ জন পুলিশ সদস্য সেখানে ছিলেন। এখন পর্যন্ত চার পুলিশ সদস্যের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিন পুলিশকে গলা কেটে হত্যা হয়েছে। ”
তিনি আরও বলেন, “ধোঁয়ায় ভবন ছেয়ে আছে। পুরো ভবন রিকভারি করার পরে প্রকৃত বিষয়টি বুঝা যাবে।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, “শুনতেছি সাধারণ মানুষ তিন জন মারা গেছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ”
অপরদিকে, বিকেল ৫টার দিকে এক দল বিক্ষোভকারী আনন্দ মিছিল নিয়ে নোয়াখালীর চাটখিল থানায় হামলা চালান। থানা ভবনের ভেতরে প্রায় প্রতিটি কক্ষে হামলা-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়।