সেজন্য শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল।
Published : 19 Apr 2024, 06:47 PM
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল।
শুক্রবার রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশে রোটারির নেতাদের প্রশিক্ষণ সেমিনারে এক্ষেত্রে সরকারের কীভাবে কাজ হবে, সে বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হয়।
রোটারির পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ও প্রধান প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ইশতিয়াক এ জামান অনুষ্ঠানে বলেন, রোটারির কাজের ক্ষেত্রে যে সাতটি লক্ষ্য রয়েছে তার সঙ্গে এসডিজির লক্ষ্যগুলোর মিল রয়েছে।
“এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করব। এজন্য খুব দ্রুতই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সঙ্গে আমরা একটি চুক্তি করব।”
স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন রোটারি যুক্ত হলে এসডিজির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয়, বিভাগ, প্রচারযন্ত্র যারাই আছে, সবাই এখন কোনো না কোনোভাবে এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা কেউ এ বিষয়ে কাজ করলে সেটাও জাতিসংঘের ট্র্যাকারে যায়। সব দেশের মানুষ দেখতে পায়।”
এর আগের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) মত এসডিজি বাস্তবায়নেও সরকার ‘ভালো করছে’ বলে মন্তব্য করেন এই জ্যেষ্ঠ সচিব।
আখতার হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাংলাদেশসহ অনেক দেশের এসডিজি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ১৬৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০১তম স্থানে রয়েছে। তবে ‘আরও ভালো’ করতে হবে।
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, “এখন আমরা সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা আছে, তাদেরকে নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করতে চাই। সেক্ষেত্রে রোটারিয়ানরা সমাজের অত্যন্ত অগ্রসরমান অংশ, একটি সফল গোষ্ঠী।
“আপনারা আপনাদের কাজের সাথে যদি এসডিজি’র লক্ষ্যগুলোকে সাথে রাখেন, তাহলে আমি সমাজের সাধারণ মানুষ যারা থাকে, তাদের সচেতনতা ও উৎসাহের ক্ষেত্রে সহজ হবে।”
এফবিসিসিআইয়ের রিসার্চ-ইনোভেনশন সেন্টারের সঙ্গে এসডিজি নিয়ে নিয়মিত কাজ করার কথাও তুলে ধরেন আখতার হোসেন।
রোটারির সাতটি অগ্রাধিকারগুলো হল- শান্তি, রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা, পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সাক্ষরতা, স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ।
রোটারির নেতারা বলেন, ২০২৪-২৫ বছরে বাংলাদেশে রোটারি কী কী কাজ করবে, সে বিষয়ে সারাদেশের নেতাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘ইনকামিং লিডার্স প্রশিক্ষণ সেমিনার’। এতে সারাদেশের তিনশ ক্লাবের প্রায় ১২শ প্রতিনিধি অংশ নেন।
প্রশিক্ষণের এসডিজি বিষয়ক সেশনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মনিরুল ইসলাম।
অন্যদের মধ্যে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ও পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর আশীষ ঘোষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।