একটি হত্যা মামলায় সোহাগ কারাগারে গেলেও পরে জামিনে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হন; এরপর আত্মসমর্পণ করে তার বদলে জেলে যান মো. হোসেন।
Published : 18 Apr 2024, 10:58 PM
একটি হত্যা মামলায় পরিচয় গোপন করে অন্যের হয়ে জেল খাটার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ১০ বছর ও আরেকজনকে ছয় বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মূল আসামি সোহাগ ওরফে বড় সোহাগকে তিনটি ধারায় মোট ১০ বছর এবং তার হয়ে কারাগারে যাওয়া মো. হোসেনকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
তবে হোসেনের পূর্ববর্তী হাজতবাস বর্তমান সাজা থেকে বাদ যাওয়ায় জরিমানা পরিশোধে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বিচারক। আদালতে দুজনের উপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়।
এ আদালতের পেশকার আতিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসল সোহাগ ও নকল সোহাগ (হোসেন) দুজনে মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা ঢাকার ডেমরা এলাকায় থাকেন।”
‘আয়নাবাজি’ রহস্য
মামলার নথি থেকে জানা যায়, রাজধানীর কদমতলী এলাকায় হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তি খুনের ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়। ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের সেই রায়ে মূল আসামি সোহাগ, মো. মামুন শেখ ও রবিন শেখকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার এক নম্বর আসামি সোহাগ গ্রেপ্তারে পর কারাগারে গেলেও পরে জামিনে বের হয়ে নিরুদ্দেশ হন। এরপর আত্মসমর্পণ করে সোহাগের বদলে জেলে যান হোসেন।
কিন্তু ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর এক সাংবাদিকের আবেদনে জালিয়াতির ওই ঘটনা জানতে পারে আদালত। পরে আদালত ছবি মিলিয়ে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিলে একজনের বদলে আরেকজনের জেলে যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ পায়।
এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পেশকার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি মূল আসামি সোহাগ র্যাবের হাতে ধরা পড়েন। একই বছরের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ে আর ২০২৩ সালের ২১ মার্চ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। বিচারে দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ চারজনের সাক্ষ্য নেয় আদালত।