রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এই দুই দেশের কাছে বাংলাদেশ সহায়তা চেয়েছে, বলেছেন প্রেস সচিব।
Published : 26 Jan 2025, 10:35 PM
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে আসিয়ানের সদস্য হতে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডকে পাশে চায় বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে সহায়তা চেয়েছেন।
রোববার রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার ডাভোস সফরের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
বাসস লিখেছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি ডাভোস সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। শনিবার তিনি দেশে ফিরেছেন।
শফিকুল আলম বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন। সেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট আসিয়ানে বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে দুই দেশের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সরকার প্রধানের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন; আমরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অংশ। বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হতে চায়। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানেও সহায়তা চাওয়া হয়।”
আসিয়ানের সদস্য হওয়া মানে বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন হওয়া, এই মন্তব্য করে শফিকুল আলম বলেন, এতে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়বে, বড় বাজার উন্মুক্ত হবে।
যদি সদস্যপদ পাওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এর চেয়ে বড় সুখবর আর হতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের নভেম্বরে আসিয়ানের সদস্য পদ পেতে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চান।
দেশটির রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাত করতে গেলে তিনি বলেন, “আমি আশা করি ইন্দোনেশিয়া আমাদের আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে সাহায্য করবে। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
এদিকে আসিয়ানের সদস্য মিয়ানমার, তাই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এই দুই দেশের কাছে বাংলাদেশ সহায়তা চেয়েছে, বলেছেন প্রেস সচিব।
এখনও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য বড় চিন্তার বিষয়।