প্রাথমিক হিসাবে ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক হাজার ১০১টি
Published : 29 Aug 2024, 11:15 PM
দেশের উত্তর পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলে বন্যায় সড়ক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য মিলেছে সরকারের প্রাথমিক হিসাবে।
এই হিসাবে ৭ হাজার ৭২২ কিলোমিটার সড়ক এবং ১ হাজার ১০১টি সেতু ও কালভার্ট ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ত্বরিত মেরামতের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
“এ পর্যন্ত এলজিইডি কর্তৃক মেরামত করা হয়েছে ৫১ কিলোমিটার রাস্তা এবং ৯৬টি ব্রিজ ও কালভার্ট।”
উজানের তীব্র ঢল এবং অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত ২০ অগাস্ট থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে বন্যা দেখা দেয়।
৯ দিনে ১১ জেলার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে, তার মধ্যে ফেনীরই সবচেয়ে বেশি ১৭ জন। এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৫ লাখের বেশি মানুষ।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বন্যা দুর্গত এলাকায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সব দপ্তর, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান।
তথ্যবিবরণীতে লেখা হয়, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
২৯ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত দুর্গত ১১টি জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার পরিশোধন ট্যাবলেট, ২৩ হাজার ৯২৭টি জেরিকেন এবং ইউনিসেফের সহায়তায় ৪ হাজার ১৩৭টি হাইজিন কিট বিতরণ করা হয়েছে।
>>বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৬৩ হাজার ২৭৪ জনকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
>> উদ্ধার করা হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩২৮ জন মানুষ এবং আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩২০ জনকে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
>> সারা দেশে ৮টি (ফেনী ৫টি, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী ও কুমিল্লায় একটি করে) মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০৫ লিটার নিরাপদ খাবার পানি বিতরণ করেছে।
আরও পড়ুন: