সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আবারও ব্যর্থ হয়েছে র্যাব।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ দিয়েছেন।
এদিন এ মামলায় ৯১তম বারের মতো প্রতিবেদন জমার দেওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত সুপারিন্টেনডেন্ট খন্দকার শফিকুল আলম প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হন।
মামলার তদন্ত শেষ করতে দেরি হওয়ায় এর আগে অসন্তোষ প্রকাশ করে আলাদা দুটি আদালত।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।
হত্যাকাণ্ডের পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের রোমান। এ মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন।
বাকি আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
এদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গ্রেপ্তারের পর তানভীর ও পলাশ জামিন নিয়ে কারাগারের বাইরে আছেন।
প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ এই হত্যা মামলার তদন্ত নামে। চারদিন পর তদন্তের ভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দায়িত্ব পেয়ে ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক আলামত সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থল থেকে বটি, পরিধেয় কাপড়সহ বেশ কিছু বস্তু পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে পাঠায় সংস্থাটি। তবে ১০ বছরেও হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়নি।
আরও খবর: