২০২০ সালে একটি রিটের রায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রতি ছয় মাস অন্তর ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে রাজস্ব আদায়ের বিবরণী হাই কোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Published : 11 Jun 2024, 09:57 PM
গুগল, ফেইসবুক, অ্যামাজনসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় সংক্রান্ত নির্দেশ প্রতিপালন না করায় এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মো. কাউছার।
গুগল-ফেইসবুক-ইউটিউবে বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপনের অর্থ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ পথে যাচ্ছে বলে তা তদারকির মধ্যে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছিল।
এর মধ্যেই ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লবসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
ওই রিট আবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, গুগল, ফেইসবুক, ইয়াহুসহ মোট ১২ জনকে বিবাদী করা হয়।
এ বিষয়ে হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর হাই এ রিটের রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রতি ছয় মাস অন্তর গুগল, ফেইসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেন থেকে মূসক, টার্ন ওভার কর ও সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট এবং আয়কর প্রদানসহ সব ধরনের বকেয়া রাজস্ব আদায়ের বিবরণী হলফনামা আকারে হাই কোর্টে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, “কিন্তু আজ পর্যন্ত এনবিআর এ সংক্রান্ত রাজস্ব আদায় বিবরণী আদালতে দাখিল করেনি। এনবিআরকে আইনি নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
রায় না মানায় চলতি বছরের ১৯ মে তিনি ও আরেক আইনজীবী মো. কাউছার ই-মেইলে এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার কথা জানিয়ে নোটিস পাঠান।
এরপর গত ৫ জুন এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয় হাই কোর্টে।