সোমবারই তিনি কারামুক্ত হবেন, আশা আইনজীবীর।
Published : 19 Feb 2024, 05:12 PM
ঢাকার রেলওয়ে থানায় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার বিচারিক হাকিম জুলহাস উদ্দিন এ আদেশ দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান।
এর মধ্য দিয়ে সব মামলায় জামিনের আদেশ হওয়ায় মির্জা আব্বাসের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানিতে আইনজীবী মহিউদ্দিন বলেন, “৩১ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়। আগে ১০ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এই এক মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ তিনি। তার জামিন প্রার্থনা করছি।”
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবীর বাবুল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন বিচারক।
আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ঢাকা রেলওয়ে থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিননামা দাখিল করাও হয়ে গেছে। আশা করছি, জামিননামা কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালেই তা যাচাই-বাছাই শেষে আজই মির্জা আব্বাস কারামুক্ত হবেন।”
জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরে তা ছড়িয়ে পড়ে শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় আরও ডজনখানেক যানবাহনে। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।
দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার।
সংঘাতের দুদিন বাদে ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগের একটি বাসা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার আইনজীবী মহিউদ্দিন জানান, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন, শাহজাহানপুর, রমনা ও রেলওয়ে থানায় কয়েক ডজন মামলা হয়। এর মধ্যে ১১টি মামলায় মির্জা আব্বাসকে আসামি করা হয়।
গত ১ নভেম্বর এক মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাকি ৯টিতে রাষ্ট্রপক্ষ গ্রেপ্তার না দেখানোয় তার জামিনের আবেদন শুনানি সম্ভব হচ্ছিল না। সে কারণে গত ২৪ জানুয়ারি ৯টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ জামিনের আবেদন করা হয়।
এরপর ১ ফেব্রুয়ারি সেই আবেদন গ্রহণ করে আদালত। এরপর বিভিন্ন দিনে ১০টি মামলার জামিন হলেও কেবল বাকি ছিল রেলওয়ে থানার মামলা। সোমবার সেটিতেই জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা আব্বাস।
পুরনো খবর
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস
৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হল মির্জা আব্বাসকে, জামিন শুনানি বিকালে
৯ মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন শুনানির অপেক্ষা