ক্যাম্পে মাদক বিক্রির কর্তৃত্ব নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই দুই পক্ষের সংঘাত চলছে। এতে জড়িয়েছে মাদক কারবারে যুক্ত কয়েকটি পক্ষ।
Published : 26 Oct 2024, 10:46 PM
ঢাকার মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করতে থানাকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মধ্যেই সেখানকার জেনিভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আহতদের প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ১৩ বছর বয়সী রহমত সার্জ্জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি বাকি তিনজনের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান।
জেনিভা ক্যাম্পে মাদক বিক্রির কর্তৃত্ব নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই দুই পক্ষের সংঘাত চলছে। এতে জড়িয়েছে মাদক কারবারে যুক্ত কয়েকটি পক্ষ।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাদের সংঘাতে যুক্ত হয় থানা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। গত দুই মাসের সেখানে সংঘাতে অন্তত তিনজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও থামেনি সংঘাত।
শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে ওসি ইফতেখার বলেন, "এটা পুরানো সংঘাতের জের। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার আবারও দুইপক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।"
এ ঘটনার পর বর্তমানে ক্যাম্পে পুলিশ ও র্যাবের টিম রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় হঠাৎ করে জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে গোলাগুলি শুরু হয়। গুলির শব্দে আশে-পাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি সার্জ্জনের বড় ভাই মোহাম্মদ মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, " সাড়ে ৫টার দিকে বাসা থেকে পানি আনতে বাইরে বের হয়েছিল সার্জ্জন। আচমকাই ক্যাম্পের ভেতরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির মধ্যে সে ডান হাতে ও পেটের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়।"
সার্জ্জন ক্যাম্পের বাসিন্দা সেলুনের কর্মচারী মো. শমসেরের ছেলে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সার্জ্জনকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে।