“বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য চীনের সহযোগিতা অনুঘটক হিসাবে কাজ করে আসছে,” বলেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
Published : 25 Nov 2024, 12:45 AM
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অবস্থা যাই হোক- বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক অবিচল ও দৃঢ় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
রোববার রাতে ঢাকার একটি হোটেলে চীনে যাওয়া বাংলাদেশিদের পুনর্মিলনীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইয়াও ওয়ন বলেন, চীন ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারত্বের’ নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।
“আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থান যেদিকে যাক না কেন, চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক সবসময় অবিচল ও দৃঢ় গতিধারা বজায় রেখেছে।”
চীনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনা করতে যাওয়া কয়েকশ বাংলাদেশিকে নিয়ে এ পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন ছিল এতে।
২০২৫ সালে চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির বিস্তৃত পরিসরে উদযাপনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, “ঐতিহাসিক এই সূচনা লগ্নে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে একই গন্তব্যের দিকে ধাবিত হতে- পর্বত ও সমুদ্র পাড়ি দিতে এবং দুদেশের বন্ধুত্বকে আরও উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে প্রস্তুত চীন।”
বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে দুদেশের সম্পর্কে আরও জোরালো করার কথা তুলে ধরে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে এই অংশীদারত্ব গড়ে উঠেছে ‘বিশ্বাস, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য অভিন্ন অভিষ্টকে ভিত্তি করে’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য চীনের সহযোগিতা ‘অনুঘটক’ হিসাবে কাজ করে আসছে। কঠিন সময়েও চীন পাশে দাঁড়িয়েছে।
এক্ষেত্রে বন্যা দুর্গতদের সহায়তা এবং জুলাই-অগাস্ট গণআন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ১০ সদস্যের চীনা চিকিৎসক দল আসার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্র সচিব।
জসীম উদ্দিন বলেন, ওই চিকিৎসক দল বাংলাদেশ সফর করে আহতদের অবস্থা মূল্যায়ন করেছে এবং স্থানীয়ভাবে সমন্বিত উপায়ে চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেছে। দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার মধ্য দিয়ে ওই পরিকল্পনা কার্যকর হবে।
চীনে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে আসা এই কূটনীতিক বলেন, “শান্তি, অগ্রগতি ও অভিন্ন সাফল্যের দিকে যখন আমরা তাকাচ্ছি, আসুন আমরা সরকার, জনগণ ও সমাজ মিলে একসঙ্গে কাজ করি। যার মাধ্যমে আমরা সুযোগ কাজে লাগানোর পাশাপাশি চ্যালেঞ্জগুলো করতে পারব।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) প্রেসিডেন্ট পেন দেংইউ বক্তব্য দেন।