নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ১১ অগাস্ট থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়া শুরু হবে।
Published : 01 Aug 2024, 06:22 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংস পরিস্থিতিতে স্থগিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ১১ অগাস্ট থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়া শুরু হবে।
ওইদিন সকাল ১০টা থেকে ভূগোল দ্বিতীয় পত্র এবং বেলা ২টা থেকে উচ্চাঙ্গ সংগীত দ্বিতীয় পত্র, আরবি দ্বিতীয় পত্র ও পালি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে।
১২ অগাস্ট সকাল ১০টা থেকে রসায়ন দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র (মানবিক শাখা), ইতিহাস প্রথম পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র পরীক্ষা হবে।
১৪ অগাস্ট সকালে রসায়ন দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাসের ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা), ইতিহাস দ্বিতীয় পদ্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
১৮ অগ্স্ট সকালে অর্থনীতি প্রথম পত্র এবং ২০ অগাস্ট অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে।
নতুন রুটিন অনুযায়ী, এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
১৮ অগাস্টের প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথম পত্রের পরীক্ষা পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ কলেজে সকাল ৯টায় হবে।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করারও নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ১৬ জুলাই সহিংস রূপ নেয়। উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সেদিন রাতেই সারা দেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ১ অগাস্ট পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৪ অগাস্ট থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষাগুলোও স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসে বৃহস্পতিবার সকালে। জানানো হয়, ১১ অগাস্ট থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা হবে। আগের সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এখন কারফিউ থাকছে কেবল রাতে। ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদী জেলার পৌর এলাকা ছাড়া দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কবে ক্লাস শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনো ঘোষণা এখনও আসেনি।