Published : 26 Sep 2024, 08:40 PM
বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগকে পৃথক করার আলোচিত মামলার বাদী সাবেক জেলা জজ মাসদার হোসেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগের রোডম্যাপ ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কথা বলেন। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে সাবেক এই জেলা জজ গত বুধবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।
এ সময় মাসদার হোসেন দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের পক্ষে এই মামলা পরিচালনায় প্রধান বিচারপতির বাবা ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে মামলাটি পরিচালনা করে বিচার বিভাগ পৃথককরণে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ যে ‘অনন্য ভূমিকা’ পালন করেছেন তা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা আজও ‘কৃতজ্ঞচিত্তে’ স্মরণ করেন।
সেই মামলার রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথককরণের ‘ব্লু-প্রিন্ট’ প্রস্তুত হওয়ার পরও তৎকালীন রাজনৈতিক সরকারের সদিচ্ছার অভাবে বিচার বিভাগ পৃথককরণের আদেশ কার্যকর না হওয়ার কথা তুলে ধরে মাসদার হোসেন চট্টগ্রামে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের এক সফরের স্মৃতিচারণ করেন প্রধান বিচারপতির কাছে।
মাসদার হোসেন বলেন, সৈদয় ইশতিয়াক আহমেদ বিচার বিভাগ পৃথককরণের রায় বাস্তবায়ন জীবদ্দশায় দেখে যেতে চেয়েছিলেন বলে চট্টগ্রাম সফরকালে তার কাছে আশা প্রকাশ করেছিলেন।
২০০৩ সালের ১২ জুলাই সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ মারা যান। তিনি ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দেয়, তার মাধ্যমে দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে গণ্য না করে একটি পৃথক সার্ভিস হিসেবে বিবেচনা করে বিচার বিভাগ পৃথককরণের দ্বার উন্মোচিত হয়। কিন্তু এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন আজো হয়নি।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ২১ সেপ্টেম্বর দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে দেওয়া অভিভাষণে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিচার বিভাগ পৃথককরণের পরিপূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরেন।