“আমরা ধৈর্য ধরব ঠিক আছে, কিন্তু ধৈর্য আমরা কতটুকু ধরব? আমরা যদি কার্যকর কোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপ না নেই, তাহলে আমাদের জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে যাবে”, বলেন তিনি।
Published : 07 Feb 2024, 08:18 PM
মিয়ানমারের সংঘাত ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
বুধবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব বর্ডারের যে অবস্থাটা তার উপর সার্বিক একটি ব্যাখ্যা ৩০০ বিধিতে জাতিকে যাতে অবহিত করেন, সেই দাবি জানাচ্ছি।”
বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
চুন্নু বলেন, “আমরা ধৈর্য ধরব ঠিক আছে, কিন্তু ধৈর্য আমরা কতটুকু ধরব? আমরা যদি কার্যকর কোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপ না নেই, তাহলে আমাদের জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে যাবে।”
জাতীয় পার্টির নেতার ধারণা মিয়ানমারে যেভাবে যুদ্ধ হচ্ছে তাতে দেখা যাবে এত লোক আসবে যে বাংলাদেশ পুশব্যাক করেও পারবে না।
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনা ও বিদ্রোহীদের যুদ্ধের মধ্যে সীমান্তের এপারে এই আতঙ্ক চলছে গত কয়েক দিন ধরেই। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি এবং সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠছেন।
কয়েকদিনের যুদ্ধের মধ্যে সাহস করেও যারা ভিটেমাটি আগলে পড়ে ছিলেন, মঙ্গলবার তারাও বাড়ি ছেড়ে যাওয়ায় গ্রামের পর গ্রাম বিরান হয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর আরও শতাধিক সদস্য এদিন পালংখালী সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৩২৭ জন অনুপ্রবেশ করেছে বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঘুমধুম ও পালংখালী সীমান্ত এলাকায় মঙ্গলবারও মার্টার শেল ও গোলার আঘাতে অন্তত পাঁচজনের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। অনেকের বাড়িঘরে এসে গুলি পড়েছে।
মিয়ানমার থেকে উড়ে আসা মর্টারের গোলার আঘাতে এক বাংলাদেশি ও এক রোহিঙ্গা নাগরিক মারাও গেছেন।
মানুষ একটা উদ্বেগের মধ্যে আছে উল্লেখ করে চুন্নু বলেন, “এখন থেকে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেই তাহলে এই সমস্যাটা প্রকট আকার ধারণ করবে।
“জাতি বা দেশের মানুষ একটা উদ্বেগের মধ্যে আছে। এখানে দেশের মানুষের জানার অধিকার আছে যে কীভাবে আমরা এটি মোকাবেলা করছি।”
দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে ‘ধৈর্য ধরার নির্দেশ’ প্রধানমন্ত্রীর