Published : 06 May 2025, 05:30 PM
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর স্ত্রী মাধবী দেবনাথের দুইটি ফ্ল্যাট জব্দ ও সাত ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত; এসব হিসাবে ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রুহুল হকের আবেদনের পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য দিয়েছেন।
দুদকের আবেদনে তুলে ধরা তথ্য অনুযায়ী, দুটি ফ্ল্যাটের মধ্যে একটি ঢাকার গুলশানে, যা ২ হাজার ৮৪৬ বর্গফুট আয়তনের এবং সঙ্গে ৩০০ বর্গফুটের দুইটি গ্যারেজ রয়েছে। এ ফ্ল্যাটের দাম বলা হয়েছে ২৯ লাখ ৪৫ হাজার ১২৪ টাকা। বাড্ডায় অপর ফ্ল্যাটটির আয়তন ১৫৬৩ বর্গফুট, যার দাম ৫৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা বলা হয়েছে দুদকের আবেদনে।
আবেদনে বলা হয়, মাধবী দেবনাথের নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ‘হস্তান্তর, স্থানান্তর বা অন্য কোনো উপায়ে মালিকানা পরিবর্তনের’ সম্ভাবনা দেখছে দুদক। সে কারণে সুষ্ঠু তদন্তর জন্য তার স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে সংস্থাটি।
গত বছরের ১১ নভেম্বর ঢাকার উত্তরা থেকে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শম্ভুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৯ জানুয়ারি ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শম্ভু ও তার স্ত্রী মাধবীর নামে আলাদা দুটি মামলা করে দুদক।
শম্ভুর বিরুদ্ধে একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে তিনি দায়িত্বশীল পদে থেকে ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ১২৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার এই আয় ‘জ্ঞাত উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ’।
তার নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাব থেকে ‘সন্দেহজনকভাবে’ মোট ৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৭০২ টাকার লেনদেন করার তথ্য পাওয়া গেছে ।
অপর মামলায় স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাধবীর বিরুদ্ধে ২ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৪০৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার উৎস জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’। এ মামলায় শম্ভুও আসামি।
এছাড়া একই অভিযোগে শম্ভুর ছেলে ও পুত্রবধূ সুনাম দেবনাথ ও কাপসিয়া তালুকদার এবং দুই মেয়ে শুল্কা দেবনাথ, মনীষা মুনমুনের সম্পদের তথ্য দাখিলেরও নোটিশ দিয়েছে দুদক।
সাবেক দুই চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন
ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিনু আক্তার সুমির আলাদা দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তানোরের মো. লুৎফর হায়দার রশিদ ও গোদাগাড়ীর মো. জাহাঙ্গীর আলমের দেশত্যাগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ‘মাদক কারবার, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার তদন্ত চলছে।
তারা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন তুলে ধরে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন মনে করছে দুদক।