পুলিশের ভাষ্য, তাঁতীবাজার থেকে স্বর্ণ কিনে বের হওয়ার পর সেই ব্যবসায়ীর বিষয়ে তথ্য জানায় ‘সোর্স’। এরপর অপহরণকারীরা তাকে অনুসরণ করে পোস্তাগোলা এলাকায় মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
Published : 29 Nov 2023, 07:16 PM
রাজধানীতে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গোয়েন্দা পরিচয় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় চার জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি জানায়, সড়কে যানজট দেখে উল্টো পথে চলতে গিয়ে ধরা পড়েছে অপহরণকারীরা।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বুধবার সাংবাদ সম্মেলন করে তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেপ্তার চারজন হলেন মো. আলম, আলমগীর হোসেন, পলাশ শেখ ও সাব্বির হোসেন।
মহিদ উদ্দিন জানান, ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে প্রায় ৩৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন সেই ব্যবসায়ী। তিনি অটোরিকশায় করে রওয়ানা হন পোস্তগোলার পথে। সঙ্গে ছিল নগদ প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তাঁতীবাজারে স্বর্ণের দোকানে কারা বড় অঙ্কের লেনদেন করে, সেটি দেখতে অপহরণকারীদের লোক সেখানে ঘোরাঘুরি করে। সেই ব্যবসায়ী স্বর্ণ নিয়ে বের হওয়ার পর সেই ‘সোর্স’ অপহরণকারীদেরকে সেটি জানিয়ে দেয়। এরপর তাকে টার্গেট করা হয়।
রাত আটটার দিকে অটোরিকশাটি শ্যামপুরের পোস্তগোলা ব্রিজের পূর্ব পাশে পৌঁছলে কেরানীগঞ্জের দিক থেকে আসা একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস এর গতিরোধ করে। সেখান থেকে বের হয়ে দুইজন নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দেয় এবং সেই ব্যবসায়ীকে টেনে-হেঁচড়ে মাইক্রোবাসে উঠায়।
মাইক্রোবাসে চালকসহ ৪ থেকে ৫ জন ছিলেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “অপহরণকারীরা গাড়িতে তুলেই ব্যবসায়ীর হাত-পা এবং চোখ বাঁধার চেষ্টা করে, সেই সঙ্গে কিলঘুষিও মারে। এক পর্যায়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকর ও নগদ টাকা ভর্তি ব্যাগ এবং দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।”
অপহরণকারীরা সেই ব্যবসায়ীকে নিয়ে এরপর রওয়ানা হয় ঢাকা মহানগরের দিকে। রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট দেখে গাড়িটি ঘুরিয়ে উল্টোপথে আসার সময় শ্যামপুরের পোস্তগোলা এলাকায় থামান এক সার্জেন্ট। তিনি কাগজপত্র দেখাতে বলে উল্টোপাশ দিয়ে আসার কারণ জানতে চান।
মাইক্রোবাসে থাকা একজন এ সময় নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে পার পেতে চান। কিন্তু পুলিশ দেখেই সেই ব্যবসায়ী চিৎকার করে বাঁচানোর আকুতি জানান।
তখন ওই সার্জেন্ট গাড়িটি আটকে আশেপাশের টহল পুলিশসহ অন্যদের সহায়তা চান।
আশেপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরার দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে মাইক্রোবাসটি জব্দ করে।