“আপনারা আজকে রাতেই দেখবেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অ্যাক্টিভিটিজ অনেক বেড়ে গিয়েছে,” বলেন তিনি।
Published : 24 Feb 2025, 05:53 PM
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’ বলেই মনে হচ্ছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে।
তার ভাষায়, “স্বাধীনতার গত ৫৩ বছরে কোনো সংবাদমাধ্যম লেখেনি যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে। আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্যাটিসফেক্টরি। তবে আরো উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে।”
সোমবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠছে কেন?
উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, “আপনি তো বলছেন শুধু পদত্যাগ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি নেওয়ার পর আমার তো জানাজাও হয়েছে, দাফনও হয়ে গিয়েছে। জীবিত থাকা অবস্থায় আমি জানাজার সওয়াব পেয়েছি।"
সভার আলোচ্য বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “আগের দিন হলে হয়ত বনশ্রীর ঘটনা জানতে জানতে দুদিন সময় লাগত। তবে এখন এটা সাথে সাথে জেনে যায় সবাই। এজন্য আমরা ভাবতেছি, বুঝি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খুব বড় ধরনের একটা ইয়ে হয়ে গিয়েছে।
“এই ধরনের ছোটখাট ঘটনা আগেও ঘটেছে, এখনো দু-একদিন আগে ঘটেছে। ভবিষ্যতে এ সমস্ত ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা চাই না যে এ ধরনের একটা ঘটনাও ঘটুক।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আপনারা আজকে রাতেই দেখবেন, তাদের অ্যাক্টিভিটিজ অনেক বেড়ে গিয়েছে।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলে রাত ৩টায় কেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলন করার প্রয়োজন পড়ল? উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আগের নিয়মে হলে কিন্তু এত রাত্রে আপনাদের কাউকে খুঁজেও পাওয়া যেত না। এখন কিন্তু আধা ঘণ্টার মধ্যেই আপনারা সবাই এসেছেন।
“যেহেতু আমরা জানি, দিন ও রাত্রে আপনারা সবাই কাজ করে যাচ্ছেন এবং আমিও এটা বোঝানোর জন্য যে- আমরাও দিন ও রাত্রে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছি; যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শুধু দিনেই কাজ করেন না- প্রয়োজন হলে রাত্রেও ব্রিফ করেন।”
পুলিশ কী আসলেই সক্রিয় হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি যে অবস্থায় পেয়েছিলাম, তার চেয়ে ভাল হয়েছে কি না- সেটা আপনারাই বলেন। তবে আরও অ্যাকটিভ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।”
সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা অপারেশন ডেভিল হান্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে কি না? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “অপারেশন ডেভিল হান্ট করাই তো হয়েছে- যেন এই ধরনের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়। রাজশাহীতে যে ঘটনাটা (বাসে ডাকাতি) ঘটেছে, দেখেন পরপরই কিন্তু আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি।
“এবং যে ওসিরা মামলা নিতে বিলম্ব করেছেন, তাদের কিন্তু আমরা আইনের আওতায় নিয়েছি। তাদের আমরা সাসপেন্ড করে দিয়েছি, অন্য সময় হলে কিন্তু এত তাড়াতাড়ি হতো না। আপনাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আমরা কিন্তু অনেক সিনিয়র পুলিশ অফিসারকেও ক্লোজ করে নিয়ে আসছি।”