নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
Published : 22 Sep 2024, 02:23 PM
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানিতে যে অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা ঠেকাতে আইনি নোটিস দিয়েছেন এক আইনজীবী।
রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান নোটিসটি পাঠিয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দুর্গাপূজার শুরুর দুই সপ্তাহ আগে শনিবার ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মাহমুদুলের নোটিসে বলা হয়, ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্রসীমা রয়েছে, যেখানে ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে।
বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর ধরে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে ‘অবৈধভাবে পাচার’ করে বলে নোটিসে অভিযোগ করা হয়।
দুর্গাপূজায় ভারতে যাবে ৩ হাজার টন ইলিশ
পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও ‘পাচার’ হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার নদীর ইলিশ পায় না এবং এ কারণে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশের মতো সুস্বাদু নয় বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়।
নোটিসে এও বলা হয়, বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য মাছ নয়। এ অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে।
নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। তা নাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাই কোর্টে রিট মামলা করা হবে বলে নোটিসে বলা হয়।