১৩ ও ১৫তম ব্যাচের বিভিন্ন দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা উপদেষ্টার কাছে নিজেদের বঞ্চনার কথা শোনান। এ সময় উপদেষ্টা আসিফের চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে।
Published : 11 Aug 2024, 03:55 PM
দুর্বার আন্দোলনে সরকার হটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে আসা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়াকে সচিবালয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর রোববার সকালে প্রথমবার নিজ নিজ দপ্তরে আসেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নাহিদ। এ সময় সচিবদের নেতৃত্বে কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।
বিদায়ী সরকারের আস্থাভাজন হতে না পারার কারণে ‘এতদিন বঞ্চিত ছিলেন’ বলে অভিযোগের ঝাঁপি খুলে বসেন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ।
বেলা ১২টায় প্রধান বিচারপতিসহ নতুন দুই উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানের কারণে দপ্তর ছেড়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নাহিদ।
ওই সময় তাকে আরো কিছু সময় ধরে রেখে একসঙ্গে ছবি তোলার এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর চেষ্টা করেন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা।
পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান নতুন উপদেষ্টাকে নিয়ে বঙ্গভবনের দিকে যান।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নিজের দপ্তরে বসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কুশল বিনিময় করেন।
১৩ ও ১৫তম ব্যাচের বিভিন্ন দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা উপদেষ্টার কাছে নিজেদের বঞ্চনার কথা শোনান। এ সময় উপদেষ্টা আসিফের চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে।
পরে আসিফ সাংবাদিকদের বলেন, “দেশ একটি কঠিন সময় পার করছে। এখন আমাদের কাছে অগ্রাধিকার হচ্ছে জাতীয়ভাবে আইনশৃঙখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। সচিবালয়ে এসেও তাই দেখতে পাচ্ছি। আজকে সচিবালয়ে এসে কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্দীপনা দেখে অনেক ভালো লাগছে।”
‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ এর নাম পরিবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এটার নাম জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে একটা ম্যাসাকারের সাথে শেখ হাসিনার নাম জড়িয়ে আছে। সহস্র ছাত্র জনতা মারা গেছে। এর সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত। এটা প্রতিটি মন্ত্রণালয়েই করা হবে।”
খেলাধুলায় সংস্কার আনার পদক্ষেপ নিয়ে আসিফ বলেন, “নারী টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিষয়ে বিসিবির সঙ্গে কথা হয়েছে। সিকিউরিটি এনশিউর করার জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনেক কিছু করার আছে। আজকে আমি ইউনূস স্যারের (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে কথা বলব। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। আমরা ইউএনের সঙ্গেও কথা বলব যাতে তারা সহযোগিতা করে। কিছু দেশে ট্র্যাভেল রেসট্রিকশন আছে, সেগুলো যাতে সমাধান করা যায়।”
বিসিবিতে পরিবর্তন আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেহেতু এটা একটা অটোনমাস প্রতিষ্ঠান, তাই সেখানে আমরা কিছু করতে পারব না। আমরা বিসিবি থেকে সাজেশান নিতে পারব, তাদেরকে সাজেশান দিতে পারব।
“বিসিবি সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অনুপস্থিত থাকাতে পরিচালকরা আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে কী পরিবর্তন আনতে পারেন সেই পরামর্শ আমরা দিয়েছি।”