Published : 29 Aug 2024, 10:10 PM
বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে এক জাহাজ ভর্তি ৩০ হাজার টন পটাশ সার সরবরাহ করবে রাশিয়া। এই তথ্য জানার পর সরকারের তরফে ধন্যবাদ জানিয়ে বন্যার্তদের জন্য এক জাহাজ গম পাঠানোরও অনুরোধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি বন্যার জন্য রাশিয়ার গমের দাম পরিশোধ করা যায়নি জানিয়ে গম সরবরাহ বন্ধ না করার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি। এ সময় এসব বিষয়ে কথা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, রাশিয়া বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বা এক জাহাজ পটাশ সার সরবরাহ করবে।
“এই তথ্য জানার পর উপদেষ্টা এজন্য রাশিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
“তিনি সারের পাশাপাশি বাংলাদেশকে এক জাহাজ গম বিনামূল্যে সরবরাহ করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।”
রাষ্ট্রদূতকে উপদেষ্টা বলেন, “বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।”
রাশিয়া বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহকারী অন্যতম দেশ। জি টু জি (সরকার টু সরকার) ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে গম ও সার আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন গম আমদানির টাকা পরিশোধ করেছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “বন্যাসহ বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আমদানিকৃত গমের সর্বশেষ চালানের টাকা পরিশোধ সম্ভব হয়নি।”
বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, “সার্বিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহ (রপ্তানি) অব্যাহত রাখার জন্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।”
রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কি এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত আকারে রাশিয়াকে জানাতে অনুরোধ করেন, বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাসও দেন।
সাক্ষাৎকালে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ল্যাবের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সহ নানা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ল্যাবের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ল্যাবের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
উপদেষ্টা একমত প্রকাশ করে বলেন, “ভবিষ্যতে এ খাতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করা হবে।”
বৈঠকে ঢাকায় রুশ দূতাবাসের কাউন্সেলর অ্যানটন চেরনভ ও ভ্লাদিমির মোচালভ সহ দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।