বুধবার রাতে তাদেরকে নিকুঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের ভাষ্য।
Published : 15 Aug 2024, 05:19 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর পল্টনে এক রিকশাচালক হত্যা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকালে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম রশিদুল আলম।
এদিন আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই মো. ইউসুফ। আসামিদের রিমান্ড আবেদন বাতিল চান আসামিপক্ষের আইনজীবী আতাউর রহমান। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক ও ছাত্রলীগ নেতা সৈকতকে বুধবার রাতে ঢাকার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের ভাষ্য।
সরকার পতনের পরদিন ৬ অগাস্ট ‘দেশত্যাগের চেষ্টার’ সময় জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকার শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার খবর এসেছিল। তখন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, পলককে ‘একটি বাহিনীর কাছে’ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেই ঘটনার আট দিন পর বুধবার রাতে পলককে গ্রেপ্তারের তথ্য দেয় পুলিশ। ৫ অগাস্টের পর জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার টুকু সম্পর্কে তেমন আলোচনা ছিল না। পলকের সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ।
পল্টন মডেল থানার ওসি সেন্টু মিয়া বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকতকে গত ১৯ জুলাই পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত রাতে গ্রেপ্তারের পর তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য তিনি ও তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হচ্ছে। সেসব মামলায় গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সালমান ও আনিসুলকে ১০ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দিশেহারা আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ও বিভিন্ন পদধারী নেতাকর্মীদের কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও বেশিরভাগ থেকে যান দেশে। তাদের অধিকাংশিই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।