Published : 19 Jul 2023, 02:37 PM
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকায় ১২টি দেশের মিশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
হামলার দুদিন পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম নামে পরিচিত) ওপর হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
“আমরা ওই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানাই। আসন্ন নির্বাচনগুলো যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে সবাইকে।”
বিবৃতিদাতা জোট ও দেশগুলো হল- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ঢাকা-১৭ আসনে ভোটের দিন সোমবার বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটের পরিস্থিতি দেখছিলেন হিরো আলম। ভোটগ্রহণের শেষ দিকে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে তিনি হামলার শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দিতে স্কুলের মাঠে কয়েকজনের সঙ্গে সেলফি তোলেন হিরো আলম। তখন নৌকার ব্যাজধারী কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ধরেন এবং বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিও বানানোর জায়গা না’। এরপর হিরো আলমকে ধাওয়া শুরু করেন।
তখন কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে ধরে স্কুলের গেইটের বাইরে দিয়ে আসেন। এরপর হিরো আলমকে সড়কে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়।
হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার এক টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।
তিনি লেখেন, “ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয় উদ্বিগ্ন। সহিংসতা ছাড়াই প্রত্যেকের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মৌলিক মানবাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।”
এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়েও হিরো আলমকে মারধরের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সোমবার ওই ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
“যে কোনো সহিংসতার ঘটনার পূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি।”
আরও পড়ুন-