গত ২১ জানুয়ায়ি হাজারীবাগের মিতালি রোডের একটি বাড়ির সাততলার ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে তানিয়া আক্তারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
Published : 31 May 2024, 10:29 PM
চার মাস আগে রাজধানীর হাজারীবাগে তানিয়া আক্তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
হাজারিবাগ থানা পুলিশ বলছে, কুদ্দুসুর রহমান নামের ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হলে হাকিম আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বলে প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মাহফুজুল ইসলাম জানান।
গত ২১ জানুয়ায়ি হাজারীবাগের মিতালি রোডের একটি বাড়ির সাততলার ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে তানিয়া আক্তারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
দুদিন ধরে ফোনে না পেয়ে সেদিন তার বাসায় এসেছিলেন ছোট ভাই তন্ময় হাসান নীদ। পরে ভেতর থকে দরজা লাগানো দেখে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
৩৫ বছর বয়সী তানিয়ার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লার কোতয়ালীর পশ্চিম বাগিচাগাঁও, আর বাবারবাড়ি ঢাকার জিগাতলায়। লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায় মন দেন তিনি।
বাবা তোফাজ্জল হোসেনের রেন্ট এ কারের ব্যবসা আর স্বামী আজিজুর রহিমের পারিবারিক ব্যবসা থাকলেও তানিয়া চাইছিলেন স্বনির্ভর হতে।তার কোনো সন্তান ছিল না।
তার ভাই সে সময় বলেছিলেন, ছয় বছর আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসা তানিয়া মাঝে মাঝে স্বামীর বাড়ি গেলেও বেশিরভাগ সময় তিনি জিগাতলায় বাবার বাসায় থাকতেন। আর নিজের নামে কার্ড ছাপিয়ে বিয়ে বাড়িসহ নানা অনুষ্ঠানে সাজসজ্জার কাজ করতেন।
হাজারীবাগের মিতালী রোডের যে বাসা থেকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়, সেই দুই কক্ষের বাসাটি তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন গত ৫ জানুয়ারি। এক কক্ষে থাকছিলেন তানিয়া, অন্য কক্ষে ইতি নামের এক নারী সাবলেট ছিলেন।
সাততলা ওই ভবনে কোনো সিসি ক্যামেরা না থাকলেও পাশের ভবন ও আশপাশের সিসি ক্যামেরা থেকে তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে বলে সে সময় জানিয়েছিল পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. ইহসানুল ফিরদাউস বলেছিলেন, খুনি বাইর থেকে এসেছে বলেই তারা ধারণা করছেন।
পুরনো খবর