“এ হামলা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বিরাট হুমকি।”
Published : 03 Dec 2024, 07:16 PM
ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো সমিতির এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিবৃতিতে সমিতির সভাপতি মো. ইয়াহিয়া ও সাধারণ সম্পাদক হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ মিশনে ভারতের হিন্দু জঙ্গিদের এই হামলা বিরাট উদ্বেগের বিষয়। এটি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বড় হুমকি। এই হামলার মধ্য দিয়ে ভারতের জঙ্গিরা দুই দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।”
শুধু আগরতলা নয়, কলকাতা, দিল্লি এবং মুম্বাইসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ‘বাংলাদেশবিরোধী উগ্রবাদী তৎপরতা’ শুরু হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
ভারত সরকার অবিলম্বে ভিয়েনা কনভেনশনে সম্মান জানিয়ে ‘বাংলাদেশবিদ্বেষী এসব তৎপরতা’ বন্ধ না করলে পুরো দক্ষিণ এশিয়া অশান্ত হবে বলে বিবৃতিতে শঙ্কা প্রকাশ করেন সমিতির নেতারা।
দুই দেশের সাধারণ জনগণের স্বার্থে ভারতের মাটিতে ‘বাংলাদেশ বিদ্বেষী তৎপরতা’ অবিলম্বে বন্ধ করা এবং ভারতে বাংলাদেশ মিশনসমূহকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সমিতি। বাংলাদেশের মিশনে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
বাংলাদেশে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের সামনে সভা ডাকে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের একটি সংগঠন। সভা শেষে সংগঠনের ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল কার্যালয়ের ভেতরে যায় স্মারকলিপি জমা দিতে।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা বলা হয়, ওই সময় বাইরে থাকা কিছু যুবক হঠাৎ সহকারী হাই কমিশন কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। কমিশন কার্যালয়ে ভাঙচুরও চালায় তারা।
ঘটনার পর দুঃখ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অপরদিকে হামলার ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ অভিহিত করে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ’নিষ্ক্রিয়তার’ অভিযোগ তোলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
পুরনো খবর
ভারতীয় দূতাবাস ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান
ভারতে কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তায় শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা