পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।
Published : 07 Sep 2024, 10:47 PM
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, অবৈধ পদোন্নতি ও পদায়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে স্বাস্থ্য ক্যাডারদের এ সংগঠনের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
এতে সব ধরনের অবৈধভাবে দেওয়া অ্যাডভিত্তিক নিয়োগের স্থায়ীকরণ বাতিল, অবৈধ পদোন্নতি ও পদায়ন বাতিল, চলমান প্রমার্জনার সব প্রক্রিয়া স্থায়ী আদেশে বাতিল ঘোষণা এবং এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিধিমোতাবেক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ক্যাডার পদগুলোতে ভিন্ন নিয়োগবিধির আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি দেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত ভুয়া পদোন্নতি, জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় পাঁচ শতাধিক ভুয়া পদায়ন, ক্যাডার কর্মকর্তাকে অ্যাডহকদের অধীন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্যাডার কর্মকর্তারা ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।
তার দাবি, মামলায় রুল জারি করা থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অনিয়মকারী শাখার কর্মকর্তারা অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পক্ষে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত পদোন্নতি আদেশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদায়ন শাখা পুনরায় অবৈধ পদায়ন আদেশ জারি করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যারা চাকরিজীবনে কখনও কোনো পরীক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেননি, যারা বিসিএসে অকৃতকার্য হয়েও ‘এন-ক্যাডার’ হয়েছেন এবং এরপর আবার বিসিএস ক্যাডারের পাঁচটি শর্ত থেকে মাফ পেয়েছে। বিসিএস পাস কর্মকর্তাদের চেয়ে ওপরে স্থান পেয়েছেন। এসব কারণে ৩৫ হাজার ক্যাডার কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ।
“আমরা উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সরকারি কর্ম কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব অনিয়ম লিপিবদ্ধ করে জমা দিয়েছি। ক্যাডারকে অ্যাডহক (নব এন-ক্যাডার) কর্মকর্তাদের অধীন করার রেওয়াজ কোনো আইন ও বিধিতেই সমর্থন করে না, শতভাগ অবৈধ।”
এসময় বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন, সদস্যসচিব উম্মে তানিয়া নাসরিনসহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।