ঢাকাবাসীর নাসিরুদ্দিন শাহ্ দর্শন ও কয়েকটি প্রশ্ন

শিমুল সালাহ্উদ্দিনশিমুল সালাহ্উদ্দিন
Published : 25 April 2017, 09:27 AM
Updated : 25 April 2017, 09:27 AM

তার গল্প নিয়ে এ সমস্ত কারবার দেখে কী ইসমত চুঘতাই হেসে খুন হয়ে যেতেন?— এই প্রশ্ন নিয়েই বেরুলাম বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রী হল থেকে, গত শুক্রবার রাতে।

অঝোর বৃষ্টি তখন, এই শহরের অভিজাত নাট্যামোদী মানুষেরা, যাদের চেহারা আমি শিল্পকলা একাডেমি কিংবা নাটমণ্ডলে কোনদিন দেখিনি, আমার প্রায় এক দশকের সাংস্কৃতিক সাংবাদিকতার জীবনে, তারা তখন পার্কিং লটের যানজট ভেঙে গাড়ি আসার অপেক্ষায় মিলনায়তনের বাইরে দাঁড়িয়ে—অনেকক্ষণ দেখলাম ঘুরে ঘুরে তাদের মুখ, হাস্যোজ্জ্বল সামাজিক গণযোগাযোগ। কারো মুখেই নাটক নিয়ে কোন কথা নেই।

থিয়েটারের খ্যাতনামা অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদারের সাথে দেখা হলো পার্কিং লটে, আমার অফিসের বাহনও তখন আটকে পড়ে আছে।

—— আপা কেমন লাগলো নাটক?
—— ভালো, খুব ভালো। বিশেষত সর্বশেষটা, নাসিরুদ্দিন শাহ বড় অভিনেতা।

আচ্ছা, নাটকের তৃপ্ত মানুষ পাওয়া যাচ্ছে তাহলে। বেশ লাগলো আমার ত্রপা আপার মুগ্ধতা।

গাড়িগুলি বেশ ভালো জ্যামে পড়েছে, একটুও নড়ছে না। মোড়ে মোড়ে মানুষের আড্ডা। অমিতাভদা (অমিতাভ দেউরী) এলেন শাহানা আপা, জিন্নু ভাইদের নিয়ে। এখানে নাটকের কথা হলো। ভাষার দূরত্বের কারণে এই গ্রুপের কেউ সেভাবে মজা নিতে পারেন নাই নাটকের। নাসিরুদ্দিন শাহকে দেখার মুগ্ধতাই সার।

ভাষার দূরত্ব যে অভিনয় ঘোঁচাতে পারে না তাকে কী ভালো অভিনয় বলবেন আপনি? নাকি বলবেন সমুদ্রের ঢেউ বাতাসে ভেসে আসা মর্মটুকরো? একটু পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটি। গত ফেব্রুয়ারিতে খাজুরাহো নৃত্য উৎসবে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে শেষ দিনের পরিবেশনা দেখতে এসেছিলেন ভারতেরই প্রখ্যাত নাট্য নির্দেশক পরিচালক রতন থিয়াম। উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কখন আপনার মনে হয় একটি নাট্যপ্রযোজনা ভালো? আপনার কখন ভালো লাগে?

থিয়াম হেসে বলেছিলেন, যখন তা শুধু হৃদয়ে না শরীরকেও আক্রান্ত করে তখন। নাসিরুদ্দীন শাহর নাটক আমাকে কোনটিতেই আক্রান্ত করেনি। তবে ব্লুজ কম্যুনিকেশনের এই প্রায় সফল ইভেন্টটি আমাদের দেশের নাট্যকর্মীদের কী বার্তা দিয়ে গেলো? প্রসঙ্গ মনে রাখুন, আবার ফিরবো এখানে।

ইসমত চুঘতাই উর্দু সাহিত্যের ঠোঁটকাটা বলে সুবিখ্যাত নারীবাদী লেখিকা। উর্দু সাহিত্যের প্রধান চার স্তম্ভের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তিনি। তার বিপ্লবী ও প্রগলভ ভঙ্গির লেখার জন্য আলোচিত এবং পুরুষশাষিত এশিয়ায় আশা করা যায় আগামী অন্তত ২০০ বছর তিনি প্রাসঙ্গিক থাকবেন। তিনি নিশ্চয়ই আনন্দিত হতেন তার লেখা তিনটি মর্মস্পর্শী গল্প 'চুই মুই', 'ঘরওয়ালী' এবং 'মুঘল বাচ্চা' নিয়ে নাসিরুদ্দিন শাহ সপরিবারে মঞ্চে উঠছেন জেনে। গল্প তিনটি একেবারেই আলাদা, মৌলিকভাবে নারীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এবং পুরুষশাষিত সমাজে নারীর বেঁচে থাকা ঘিরে আবর্তিত।

ইসমত চুঘতাই এর হাস্যরস দারুণ। সেই হাস্যরসই মোটলের অনাড়ম্বর প্রযোজনাটির মূল আকর্ষক উপাদান।

তখন বাজে সাড়ে পাঁচটা। ছয়টায় গেট ওপেন হবার কথা ছিলো। নবরাত্রী হলের সামনে থেকে প্রায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের মূল ফটক পর্যন্ত লম্বা লাইন। ব্লুজ কম্যুনিকেশনের কম্যুনিকেশন শক্তির এক দারুণ প্রদর্শনী। আমিও আমার কম্যুনিকেশন শক্তির কিঞ্চিৎ ব্যবহার করে আগেই ঢুকলাম হলে। ছয়টায় প্রদর্শনী শুরু হবার কথা থাকলেও দর্শকদের আসন গ্রহণ করতে সময় লাগলো প্রায় সাতটা বিশ পর্যন্ত। সাড়ে সাতটায় শুরু হলো নাটক।

কুর্তা ও শাদা পাজামা পরে শুরুতেই নাসিরুদ্দিন শাহ্, যিনি এই নাটকের পরিচালক-অভিনেতা, দর্শকদের একটা ভূমিকা দিলেন ইসমত চুঘতাই এর জীবন ও কর্ম নিয়ে।

প্রথম 'চুই-মুই'। যার অর্থ বোঝাতে নাসিরুদ্দিন শাহ ব্যবহার করলেন ইংরেজি ফ্রেইজ 'টাচ মি নট'। তাঁর ভূমিকার পর মঞ্চে ঢুকলেন হীবা শাহ্। তিন নটনটির মধ্যে তিনিই কনিষ্ঠ। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র এমন এক নারী যার একমাত্র স্বপ্ন তার স্বামীর বাচ্চার মা হওয়া। যেনো বন্ধ্যা অপবাদ দিয়ে স্বামী তাকে ছেড়ে বংশের বাতি জ্বালিয়ে রাখার জন্য অন্য কোন রমনীকে বিয়ে করতে না পারে।

এই নারীচরিত্রটি ঘরে সাজানো যেকোন আসবাবের মতো হলেও, তার চরিত্রের সাথে সংঘর্ষ ঘটাতে আনা হয় একটি বৈপরীত্যমূলক চরিত্র। যে চরিত্রের দেখা এ রমনীর সাথে একটি ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে। এই নারীটি আবার প্রচণ্ড ভয় পায় দাম্পত্য সম্পর্কের বাইরে সন্তান নিতে। এই নামপরিচয়হীন নারীচরিত্রটি নিজের ইচ্ছামতোন বেঁচে থাকার কথা বলে। স্বাধীন জীবনের কথা বলে, আদতে চুঘতাইয়ের দর্শন তুলে ধরে দর্শকদের সামনে।

পরিমার্জিত একটি একাঙ্কিকা এটি, কিন্তু গল্পটা পড়ে যে অনুভূতি তৈরি হবে সংবেদী পাঠকের মনে, তা যেনো হলো না এই নাটিকায়। কখনো কখনো হীবা শাহ্কে সুঅভিনেত্রী মনে হলেও চরিত্র ও বর্ণনাকারীর সংলাপে যে পার্থক্য, তা যতন মুন্সিয়ানায় তুলে ধরা দরকার ছিলো তা যেন হয়নি। একক অভিনয়ে যতটা স্বতঃস্ফূর্ত প্রস্তুতির প্রয়োজন তাতেও যেনো ছিলো ঘাটতি, অন্তত তিন জায়গায় তিনি চরিত্র বদল করতে গিয়ে দুজনেরই সংলাপ একই রকম কণ্ঠে বলেছেন।

দ্বিতীয় নাটিকা মুঘল বাচ্চা নিয়ে মঞ্চে আসেন নাসিরুদ্দিন শাহ এর দীর্ঘদিনের সহধর্মিনী, শিল্পসহযাত্রী রত্মা পাঠক শাহ। তিনটি গল্পের মধ্যে নিঃসন্দেহে এটিই সেরা। রত্মা কালে মিঞা ও গোরি বাই এই দুটি চরিত্রে একাই অনবদ্য অভিনয় করেছেন। একেবারে দুই বয়সের দুই লিঙ্গের দুজন মানুষের চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় ঈর্ষা করবেন যে কোন অভিনেতা অভিনেত্রী। গল্পটির কেন্দ্রে আছে শক্তিমান সব শাষকদের স্ত্রীরা। তাদের কিভাবে শাষকদের ব্যর্থতা ও খামখেয়ালীপনার বলি হতে হয় তাই বলে যায় এই গল্প। উরুতে হাত রেখে পরিবর্তিত গলায় রত্মা আমাদের নিয়ে যান গোরি বাই এর পৃথিবীতে। আমার কাছে এই নাটিকাটি এমনকী নাসিরুদ্দিন শাহ্ এর নাটিকার চেয়েও ভালো লেগেছে কারণ রত্মা আরোপিত প্রায় কিছুই করেননি। যেভাবে দাদী নানীরা গল্প বলে বাচ্চাদের সেই ভঙ্গিতে তিনি গল্পটি বলে গেছেন, দুই আলাদা চরিত্রে স্বতঃস্ফূর্ত কণ্ঠ দিয়েছেন, যা গল্পটি একেবারে ব্যক্তিগতভাবে বলা গল্পের মতো করে তুলেছে। এবং এটিই আলাদা করেছে গুণে মানে নাটিকাটিকে অন্য দুটি একাঙ্কিকা থেকে।

সন্ধ্যার সর্বশেষ চমক নিয়ে এরপর মঞ্চে আসেন নাসিরুদ্দিন শাহ। শিরোনাম 'ঘরওয়ালী'। এই গল্পটায় একজন বেশ্যাশ্রেণির কাজের লোককে নিয়ে ছিলো একেবারে খোলামেলা, ইঙ্গিতহীন সরাসরি কথামালা। এই গল্প যাদের সামনে বলা হলো সেই অভিজাতরা নিশ্চয়ই ছি ছি করে উঠতো গল্পটি বাংলা ভাষায় বলা হলে বা অভিনীত হলে। এর গালিভরা পংক্তিমালা ও যৌনইঙ্গিতপূর্ণ ডায়লগ অস্বস্তিও তৈরি করেছে নাটকটি অভিনীত হবার সময়। দর্শকসারীর নারীদের এসময় কাউকে কাউকে মাথা নিচু করে থাকতে দেখা যায়। যদিও এই সরাসরি বলা (with Rawness) ছাড়া হয়তো গল্পটা এতো সত্যি কিংবা বাস্তবতার কাছাকাছি আনা যেতো না। গল্পটা এক সুন্দরী তরুণী লাজ্জোকে নিয়ে, যার অতীত সম্পর্কে কিছুই বলা হয় না গল্পে, কিন্তু বলা হয় তার আছে হাজার হাজার প্রেমিক, প্রসংশাকারী। মির্জা নামের এক লোক আসে তার জীবনে, তাকে বিয়ে করে এবং ভুলে যায় যেমন বহু আগে পাওয়া কোন পুরস্কারের কথা ভুল যায় মানুষ। মির্জা তাকে যে বঞ্চনা দিয়েছে, ভয়ানক সব ধাক্কা দিয়েছে, এমনকী মারও, লাজ্জো এখন একটি বিচ্ছেদ ঘটে গেলে বাঁচে। সমস্যা হলো, এ ব্যাপারগুলিকে মির্জা সাহেব খুবই স্বাভাবিক মজা হিসেবে দেখে এবং তালাক দিতে দিতেও দেয় না। তালাকের কথা বলে হুমকী দেয়, তালাক পাবার জন্য লালায়িত লাজ্জো বহু আগেই বুঝেছিলো বিয়ে হলো পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর কামনা বাসনা পূরণের একটি প্রক্রিয়া কেবল, সুতরাং তালাকের কথা শুনলেই সে খুশি হয় ওঠে। কারণ তাহলে মির্জা সাহেবের ভার তাকে আর বহন করতে হবে না। নির্লজ্জ্ব চুমুর ভঙ্গিমা ও চোখের টিপুনিতে নাসিরুদ্দিন শাহ তাৎক্ষণিকভাবে যতবার লাজ্জোর ভূমিকায় মির্জা থেকে পরিবর্তিত হয়েছেন ততবার মিলনায়তনের দর্শক করতালি দিয়ে উঠেছে। দারুণ ছিলো এভাবে বলিউডের রূপালী পর্দা থেকে নেমে আসা একজন তারকাকে আবিষ্কার করা, যারা ভাষা বোঝেননি তাদের জন্যও নিশ্চয়ই দারুণ ছিলো তারকার অভিনয় দেখার রোমাঞ্চ। নাসিরুদ্দিন শাহ হতাশ করেননি, তিনি যে একজন অসামান্য অভিনেতা ছোট ছোট সংলাপে গাঁথা প্রায় চল্লিশ মিনিটের নাটিকা ঘরওয়ালীতে বুঝিয়ে দিয়েছেন হাজারো দর্শককে। মির্জা হিসেবে নিজের ব্যক্তিত্বসহ চরিত্রটিতে নাসিরুদ্দিন শাহকে মানিয়েছেও খুব। দুর্দান্ত ছিলো তার শব্দপ্রক্ষেপণ ও সংলাপের তড়িৎ বদল। চরিত্র থেকে চরিত্রান্তরে যাবার অন্তর্গত মকারীগুলোও। তার সংলাপের যে ভঙ্গিমা, তার যে শক্তি, সেটি টের পাওয়া গেছে এ নাটিকায়, বোঝা গেছে কেনো রসিকদের কাছে এতো জনপ্রিয় এ অভিনেতা।

মিনিমালিস্টিক মিউজিক দারুণভাবে গেছে তিনটি কথিকার সাথেই। সঙ্গীতায়োজক বিশাল ভরদ্বাজ এজন্য অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। সঙ্গীতায়োজন এতো সরল ও ন্যুনতম ছিলো, কিন্তু ছিলো শ্রুতিমধুর, সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের দেশের নাট্যনির্দেশকরা নিশ্চয়ই চমকে গেছেন ইসমাত আপা কী নাম এর সেট দেখে। এতো মিনিমালিস্টিক সেট বহুদিন পর দেখলাম। একটি মোটা ক্যানভাসে একটি মহলের অবয়ব ছিলো সেট। সামনে একটি বিছানা ও কিছু কুশন। সেটের ব্যাপারেও জয়রাজ পাটিল ও সেলিম আরিফ ছিলেন একেবারেই 'যা লাগবে তার বাইরে কিছুই নয়' পদ্ধতির। আলোক প্রক্ষেপণও দারুণ ছিলো, অভিনেত্রী অভিনেতার বর্ণিত গল্পের মেজাজ অনুযায়ী। ঠিক সময়ে ঠিক আবহটি তৈরি করেছে আলো। সামগ্রিকভাবে এই ইসমাত আপা কী নাম নাটকটি যারা স্পর্শসম্ভব, বুদ্ধিদীপ্ত গল্প মঞ্চে দেখতে ভালোবাসেন তাদের জন্য একটি 'অবশ্যদেখ্য' নাটক।

ঢাকায় এই নাটকটি মঞ্চায়নের জন্য বড় ধন্যবাদ পাবে ব্লুজ কম্যুনিকেশন্স। ফরহাদুল ইসলাম ও তার দল শুধুমাত্র ব্যাপক প্রচারণায় দেশের সবাইকে আগ্রহী করে তোলেননি প্রযোজনাটি নিয়ে, উচ্চবিত্তের অনেকের জন্য প্রযোজনাটি দেখা এর উচ্চমূল্যের টিকিট সংগ্রহ করাকে 'ক্রেডিট ম্যাটার' এ রূপান্তর করেছেন, আমাদের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ইতিহাসেই এ এক অসামান্য সাফল্য। এখন দেখার অপেক্ষা, ভারতের মোটলি থিয়েটারের চেয়ে অনেক অনেক গুণে ভালো আমাদের দেশের নাটক নিয়ে কবে ব্লুজ আবার এমন আয়োজন করতে পারে! অাদৌ পারে কী না! কিংবা দেশের নাটক নিয়ে এমন বড় আয়োজন করার মতো দেশপ্রেম বা বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তিমত্ত্বা এই সফল আয়োজনের আয়োজকদের আছে কী না!

এই প্রসঙ্গটিই লেখা শুরুর একটু পরই মনে রাখতে বলেছিলাম, প্রিয় পাঠক। আমাদের দেশের নাট্যকর্মীরা এই প্রযোজনা থেকে কী পেলেন?

আমার মনে হয় পেলেন, এই বার্তা যে, মঞ্চ নাটকের জন্য শতভাগ উপযোগী না হলেও, অনেক লাইট, কোরিওগ্রাফি কিংবা মঞ্চসজ্জ্বার কেরদানি না থাকলেও, শুধুমাত্র দারুণ অভিনয় দিয়ে দেড়ঘন্টার বেশি সময় দর্শক ধরে রাখা যায়। নাসিরুদ্দিন শাহর মতো বড় অভিনেতারা সেটা পারে। আমাদের মঞ্চে গত কয়েকবছর ধরে যখন সেট, লাইট, কোরিওগ্রাফির চমকে প্রযোজনা সফল করার একটি প্রবণতা চলছে,তখন মোটলির ইসমত আপা কী নাম বুঝিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র অভিনয়ই একটি নাটকের মূলশক্তি। তাতেই সবার আগে জোর দেয়া উচিত।