Published : 10 Nov 2023, 08:41 PM
তোমাকে দেখলে পর আরো কিছুকাল
বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে।
নিয়তিকে তর্জনী উঁচিয়ে বার দরজার দিকে
ইশারায় দেখিয়ে দি,
যেন সে অপেক্ষা করে অন্য সময়ের।
কেন যে মহুয়ার কথা মনে পড়ে যায়,
নদের ঠাকুর আর নরক চিহ্নিত জলপাই
“বাইদ্যার সঙ্গে আমি যে সই (যখন ইচ্ছা) যথায় তথায় যাই।
আমার মন বান্ধ্যা রাখে (হায় কারিগর)
এমন স্থান আর নাই।।”
নিয়তিকে বলতে ইচ্ছে করে
সে যেন বদলে নেয় তার কবজির ঘড়ি
জানি এ অসম্ভব তবু
“বন্ধুরে লইয়া আমি অইবাম দেশান্তরি।”
তোমাকে দেখলে পর মনে হয়
কী আর এমন ক্ষতি হয়ে যাবে
তোমার সাথেই থাকি কিছুটা সময়।
আমি তো দুরেই ছিলাম, মধ্য মাঠের অনেকটা পরে
ধূলি মাখা
যদি বা কপালগুণে ডিপ ডিফেন্ডার ঐশ্বরিক ছলে
কেড়ে নিতে পারে বল, ঠেলে দিতে পারে এই
গোলাকার পৃথিবীকে আদিগন্ত ঘাসে
এক রোখা
কিছুটা আমার দিকে,
হয়তো বেকহাম হয়ে কৌণিক আদলে,
ফেরাতে পারবো এর গতি
অথবা সক্রেটিস হয়ে ছাড়বো ইতালী
“যদি পাই গণতন্ত্র তবেই নামবো এই মাঠে”।
বেচারা ডাক্তার, জানতো না মাঠের ফসলে
বেফারির ত্রুটি আর কৃষকের দীর্ঘ শ্বাসে
কতোটা ত্রাসের চিহ্ন আজো জেগে আছে।
তুমি তো শেয়াল চোখ, প্রতিরক্ষা ব্যূহকে ছাড়িয়ে
হায়েনার মতো বসে ছিলে -প্যাসিভ অফসাইড
যাকে বলে -রিপ্লেহীন, ইতিহাসহীন -
লাইনসম্যানের চোখ কুয়াশায় :
রেফারি যা দেখতে পারেনি
অনোখা, আস্থাহীন জলে।
একটি রানের জন্যে আঁকুপাঁকু করছে হৃদয়, মাঠজোড়া সমস্ত গ্যালারির –
যেন এ টেল এন্ডার ব্যাটসম্যান জানেনা একটি বলের মূল্য এ মুহূর্তে কত;
পলকহীন চোখ তুলতে ভুলে যাচ্ছে ক্রিজ ছেড়ে, শ্বাস নিতে ভুলছে শরীর
জীবন ফুরিয়ে যাচ্ছে, ইনিংস কী পারে নিতে আর একটি মেডেনের ক্ষত।
এটা তো সীমিত খেলা, পাঁচ দিনব্যাপী আমাদের হাতে নেই অফুরন্ত দিন
এক পা এগিয়ে নিয়ে সমস্ত নিষ্ঠা দিয়ে স্থিরচোখে অবিরাম করে যাবে ব্লক
বাউন্সারের বর্শা দেখে মাথা তুলে কোনো পথ হারাবে না, ছেড়ে দেবে স্পিন:
ধৈর্য দেখানোর দিন আর অবশিষ্ট নেই, ছেঁকে ধরছে নিশ্চিত ওভারের শক
লং অফের দিকে ঠেলে এখনো সে দায়িত্ব এড়াতে পারে, অসাধু সংসারে :
নন-স্ট্রাইকারের কাছে একটি বলের মূল্য বাউন্ডারি, ছক্কাও হলে হতে পারে।