Published : 02 Aug 2023, 11:55 AM
যে গল্প ফুরায়েছে সহস্র এক রজনীর পরের কোনো রাতে
নির্জন বড় কোনো সৌন্দর্য্যের মতন
নিঃসঙ্গ, গভীর কস্তুরি হরিণের পদচ্ছায়ায়
নীলাভ বিষন্নতার অস্তচাঁদে
অম্লান শোকেরা জাগিয়ে তোলে সেইসব দিনরাত্রি
যেভাবে মৌন শশ্মান থেকে জ্বলে ওঠে চিতার আগুন
হয়তো নিভে যায় করুণ কোনো চোখের কথা ভেবে।
একদিন যে চোখ দেখেছিল শীতলক্ষ্যার জল
নিভৃত পানামের ভরা বুকে হেমন্ত শিশির—
অন্ধকার সিঁড়িঘর, নিথর জানালার পাশ ঘেঁষে পুরোনো দালান
অদূরে কচি সবুজের সমারোহ নিয়ে ভেসে উঠেছিল শালিধান
দেখেছিল নগরীর স্কাইস্ক্রাপারে—সন্ধ্যার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বসে আছে নির্জন দাঁড়কাক
অগণন শীতের ভোরে শালবনে দেখেছিল বুদ্ধের প্রতিকৃতি
দেখেছিল বৎসরাজ—ইন্দ্রায়ুধ—ধর্মপালের পরাজয়
হয়তো খুঁজেছিল অমোঘবর্ষ—বিগ্রহপালের হৃদয়!
একসময় নিভে যাওয়া চিতা পড়ে থাকে একা
পুণ্যস্নানের স্মৃতি নিয়ে সুগন্ধি মোমের ধোঁয়ায় জেগে ওঠে ধ্যানঘর
মাঝরাত্তিরে মালকোষ শুনতে শুনতে মহাশূন্যে পাড়ি দেয়
—ত্রিকালজ্ঞ পেঁচা
পড়ে থাকে রবিশঙ্করের নিস্তব্ধ সেতার
আমাকে ভাবিয়ে তোলে জীবনানন্দের মৃত্যু
আমাকে ভাবিয়ে তোলে পুরোনো প্রেমিকের পিতার মৃত্যু
তীব্র সূর্যের অনুভব নিয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে সেইসব মুখ—সেইসব অন্তর্ধান!
তবে কি মৃত্যু হলে পৌরাণিক দেহ ভাসে কালীদহে?
নাকি আরও দূর অন্ধকারে—অস্পষ্ট রাত্রির গভীরে
মৃত্যুর আশ্চর্য আভা রেখে যায় অন্য কোনো প্রাণে!